|
|
|
|
জেলায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী, দু’দিনে মোট তিনটি জনসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি আদালত। রাজ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা না পেয়ে দোলাচলে রয়েছে প্রশাসন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সরিয়ে প্রচারে নেমে গিয়েছেন। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, পুরুলিয়ার পর আজ, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের প্রচারে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলে দু’টি সভা করবেন তিনি। একটি জামবনি ব্লকের গিধনির কাছে নুনিয়াতে, অন্যটি গোপীবল্লভপুরের ছাতিনাশোলে। |
|
রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
এ দিকে, জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদীদের আনাগোনা দেখা দিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তৈরি পুলিশও। মঙ্গলবার আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ডিআইজি লক্ষীনারায়ণ মিনা-সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শন করেন। সভার আগের দিন থেকেই রাস্তায় ‘মেটাল ডিটেক্টর’ দিয়ে ‘চেকিং’ চলছে। জঙ্গলে চলছে জোর তল্লাশিও। যদিও নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। সভায় স্বতস্ফুর্ত মানুষের ভিড়ও হবে চোখে পড়ার মতো।”
বুধবার, দিনের প্রথম সভাটি গিধনিতে হবে বেলা একটায়। তিনটে নাগাদ পরের সভা গোপীবল্লভপুরের ছাতিনাশোলে। মঙ্গলবারই রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির অতিথি নিবাসে তাঁর রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দিনের দু’টি সভা শেষ করে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে আরও একটি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ওই দিন নয়, পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। সভাটি নারায়ণগড়ের খাকুড়দাতে হবে। হঠাৎ ঘুরপথে এতদূরে গিয়ে কেন সভা? ওই দিনই আবার বিকেল চারটেয় উলুবেড়িয়াতে সভা রয়েছে। ডেবরাতে সভা হলে বরং উলুবেড়িয়া পৌঁছনো সহজ হত। দলের একটি অংশের মতে, এখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া রয়েছে। ডেবরায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব বেশি। তাই ওই জায়গাটি এড়িয়ে গিয়েছেন দলীয় নেতারা।
একথা অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ। তাঁর মতে, “এটা হয়তো ঠিক যে ঘুরপথে দিদির (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুটা কষ্ট হবে। কিন্তু নারায়ণগড় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বিধানসভা ক্ষেত্র। তাছাড়াও ওই এলাকায় সভা করলে দাঁতন ১, ২ ও কেশিয়াড়ি ব্লকের মানুষ সভায় আসতে পারবেন। তাই ওখানে সভা করা হচ্ছে।” প্রতিটি সভাতেই ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি। প্রদ্যোৎবাবুর কথায়, “এটা যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই স্থানীয় নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরাই কর্মী-সমর্থকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবেন। তবে, জঙ্গলমহলের মানুষ এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে চান। তাই কোনও ব্যবস্থা না করলেও নিজেরাই সকলে হাজির হয়ে যাবেন।” |
|
|
|
|
|