বিশ্ব জুড়েই অস্থির শেয়ার বাজার। ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে এখনও মন্দার কালো মেঘ। তার ওপর লগ্নিকারীদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনা অর্থনীতির ব্যাঙ্কিং শিল্পে নগদের সঙ্কট। যার জেরে মঙ্গলবার কার্যত ধস নামে চিনের শেয়ার বাজারে। তবে বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারের এই পিচ্ছিল পরিস্থিতির মধ্যেও মঙ্গলবার কিছুটা উঠেছে ভারতীয় বাজার। দিনের শেষে ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে তা বন্ধ হয় ১৮,৬২৯.১৫ পয়েন্টে।
পরে চিনা শীর্ষ ব্যাঙ্ক সঙ্কট মেটানোর আশ্বাস দিলেও তখন সে দেশের বাজারের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়বে আগামী কাল। প্রভাব অবশ্য পড়েছে ভারত ও ইউরোপে। |
শেয়ার দর পড়ছে। চিন্তিত চিনা ব্রোকার। ছবি: এপি |
বাজার খোলার পর চিনে ধস নামার জেরে সেনসেক্স সকালে পড়তে শুরু করলেও পরে তা ঘুরে দাঁড়ায় এবং ২৬০ পয়েন্ট মতো বেড়ে যায়। ডেরিভেটিভ লেনদেনের দিন (২৭ জুন) এগিয়ে আসার কারণেও শেয়ার কেনার চাহিদা বেড়ে যায়। ভারতের বাজারকে এ দিন টেনে তুলতে ইন্ধন জুগিয়েছে ইউরোপে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার খবরও। তবে এতটা উত্থান দিনের শেষে ধরে রাখতে পারেনি সূচক। মুনাফা ঘরে তোলার তাগিদে বিক্রির চাপে সেনসেক্সকে ৮৮ পয়েন্ট বেড়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। চিনা অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কায় মার্কিন বাজার সোমবার পড়লেও মঙ্গলবার বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মূলত আবাসন ক্ষেত্রের সূচক এপ্রিলে ১২.১% (৭ বছরে সর্বোচ্চ) বাড়ার খবর ওয়াল স্ট্রিটে প্রাণ ফেরায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ দিন সামান্য হলেও বেড়েছে ডলারে টাকার দাম।
গত দু’সপ্তাহ ধরেই নগদের সঙ্কটে নাজেহাল চিনের ব্যাঙ্কিং শিল্প। আন্তঃ-ব্যাঙ্ক ঋণের বাজারেও সুদ আকাশছোঁয়া। মঙ্গলবার সেখানে সূচক এক ধাক্কায় পড়ে যায় ৬%। ২০০৯-এর আর্থিক মন্দার পর গত চার থেকে সাড়ে চার বছরে চিনের শেয়ার বাজার এক দিনে এত বেশি পড়েনি। পরে চিনা শীর্ষ ব্যাঙ্ক পিপ্লস ব্যাঙ্ক জানায়, ব্যাঙ্কের হাতে নগদ জোগাতে তারা সহায়তা করবে। ব্যাঙ্কের ওপর কড়াকড়িও শিথিল করবে। আন্তঃ-ব্যাঙ্ক ঋণে সুদ নেমে আসবে বলেও আশ্বাস দেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের সহকারী গভর্নর লিং তাও।
|