বাবাকে খুন করার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, বাবার হাতে মা-কে মার খেতে দেখে উত্তেজিত হয়ে সে এই কাজ করেছে, জেরার সময় এই কথা জানিয়েছে ধৃত। সোমবার রাতে ভাতারের নরসিংহপুর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম মঙ্গল বাগ (৫২)। এসপি সৈয়দ হোসেন মির্জা বলেছেন, “রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন মঙ্গলবাবু। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারধর করা শুরু করেন। কাছেই ছিলেন দম্পতির বড় ছেলে সুকান্ত। তিনি দক্ষিণ ভারতে কাজ করেন। বাড়ির বাইরেই থাকেন সারা বছর। ধর্মরাজ পুজো উপলক্ষে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। মাকে বাবার মারধরের দৃশ্য দেখে তিনি একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন মঙ্গল। ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
|
দু’দিন কেটে গেলেও কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামের গুপ্ত পরিবারের তিনশো বছরের পুরনো মহিষাসুরমর্দিনীর অষ্টধাতুর মূর্তির খোঁজ পেল না পুলিশ। কামাখ্যা মন্দির-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষজ্ঞেরা হাতের ছাপ সংগ্রহ করেন। গত রবিবার কামাখ্যা মন্দিরের ভিতর থেকে মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি চুরি হয়। চুরি যায় দেবীর গয়না ও কষ্টি পাথরের শালগ্রাম শিলাও। পুলিশ জানিয়েছে, মূর্তির খোঁজে কয়েক জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে কোনও সূত্র না পেয়ে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, “মূর্তিটি উদ্ধারের জন্য সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
|
সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। মঙ্গলবার কুঁয়ারা গ্রামে এই নিয়ে দু’দলের সংঘর্ষের পরে সানু ঘোষ নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। সিপিএমের দাবি, এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দু’জন মদ্যপ যুবকের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক বধূর। মৃতার নাম মঞ্জু পণ্ডিত (১৮)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কাটোয়ার মুস্থুলী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওই বধূর। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, সোমবার সকালে কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে কীটনাশক খেয়েছিলেন মঞ্জুদেবী।
|
দুই পাড়ার সংঘর্ষে এসিপি-সহ তিন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড় এলাকায় কসাই মহল্লা ও লালচকের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) অজয় প্রসাদ। তবে পুলিশ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কসাই মহল্লার বাসিন্দা একদল যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট পাটকেল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। ইঁটের গায়ে আহত হন এসিপি অজয় প্রসাদ-সহ জনা তিনেক পুলিশ কর্মী। পরে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাতে হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে যান কমিশনারেটের এডিসিপি সুরেশ কুমার। পুলিশ জানিয়েঠে, এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে।
|
জখম অবস্থায় কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মঙ্গলবার মৃত্যু হল আরশাদ শেখ (৫৩) নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, তিনি বৃহস্পতিবার চিকিত্সার জন্য কান্দরা যাচ্ছিলেন। তখন দুর্ঘটনা ঘটে। পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকার পরে মারা যান তিনি। |