নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ধর্ষণের মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেন অভিযোগকারিণী। সোমবার দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের মাধ্যমে কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তাঁকে সোমবার সকালে থানায় ডাকা হয় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। সেই সময় তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি এও অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি সাদা কাগজে সই করিয়েও নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার বলেন,“ ওই মহিলাকে থানায় বসিয়ে রেখে হয়রানি করা হয়েছে। পরে ওই সই করা কাগজটি ফেরত চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। আমরা বহুবার আবেদন করলেও কোনও ফল হয়নি। তারপরেই আমরা সহকারি ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হই।” যদিও শিলিগুড়ির সহকারি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই আধিকারিক শিলিগুড়ির বাইরে রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।”
শিলিগুড়ির পরিবহণ বিভাগের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে বাড়ির পরিচারিকাকে ধর্ষণ, ভয় দেখানো, গর্ভপাত এমনকী মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, চার মাস ধরে ওই আধিকারিক তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করান ওই আধিকারিক। রবিবার ঘটনার বিবরণ জানিয়ে শিলিগুড়ি মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতা পরিচারিকা। সোমবার অভিযোগকারী মহিলার বাড়িতে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এসে অভিযোগ প্রত্যাহার করার হুমকি দেয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে ডেকে নিয়ে থানায় বসিয়ে রাখে। পরীক্ষা না করিয়ে তাকে দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য কাগজে সই করিয়ে নেয়। ওই মহিলার অভিযোগের পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
|