নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় একাধিক ইঞ্জিনিয়রকে গ্রেফতার করা হলেও শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য ও তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমারকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগে আন্দোলনে নামল দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। সোমবার এসজেডিএ-এর শিলিগুড়ি অফিসের সামনে মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বাম নেতা-কর্মীরা।
সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকারের অভিযোগ, “একটি সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান, সিইও-কে এড়িয়ে কয়েক কোটি টাকা ঠিকাদারকে দেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই ইঞ্জিনিয়র, ঠিকাদার সংস্থাকে গ্রেফতার করে পুলিশ দায় এড়াতে পারে না। পুলিশ কী কারণে তৎকালীন সিইও এবং চেয়ারম্যানকে জেরা করছে না সেটা জানা দরকার। পুলিশ অফিসারদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে নানা মহলেই। আশা করব, পুলিশ ওই দুজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে সেই সব সন্দেহ যে ঠিক নয় তা প্রমাণ করবে।” শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথবাবু বিশদে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। তা নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না।” প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণকুমারও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সিপিআই এর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক উজ্জ্বল চৌধুরীও এসজেডিএ-এর দুর্নীতি মামলায় কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হলে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি দুই শহরে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “এসজেডিএ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সিইও-এর ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই তাঁরা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আনারস উৎসব থেকে শুরু করে নানা খাতে টাকা খরচ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। জোড়াপানি নদীর সংস্কারে বহু কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করে কেন পুলিশকে জানানো হয়নি? এ সব প্রশ্নের জবাব মানুষকে দিতে হবে।” আরএসপি এর দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাপস গোস্বামী জানান, তাঁরাও এসজেডিএ-এর দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একজনও যাতে ছাড় না পান সেই ব্যাপারে নজরদারি চালাবেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতা বিশ্বনাথ পাল বলেন, “এসজেডিএ-এর দুর্নীতির তদন্ত নিরপেক্ষ কোনও সংস্থার হাতে দিতে হবে। কারণ, স্থানীয় পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে জনমানসে নানা প্রশ্ন রয়েছে।’’
|