দু’দিন আগে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও স্থানীয়দের মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল সাত যুবক। এর পরেই রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে মারধর করে টাকা, মোবাইল ছিনতাই করল দুষ্কৃতীরা। এ বারও ঘটনাস্থল বরাহনগর। পরে অবশ্য এই ঘটনায় তিন জন গ্রেফতার হয়েছে।
বরাহনগর জুড়ে চুরি, ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার মতো ঘটনায় আতঙ্কে বাসিন্দারা। অভিযোগ, পুলিশি নজরদারির অভাবই এর কারণ। যদিও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “প্রতি এলাকায় পুলিশি টহলদারি রয়েছে। নজরদারি বাড়ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন যুবক গ্রেফতার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া জিনিস।
পুলিশ জানায়, বরাহনগরের বাসিন্দা নাসির খান ওই রাতে বনহুগলি দিয়ে ফিরছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান, তিন যুবক তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে সাড়ে সাতশো টাকা, মোবাইল ও এটিএম কার্ড কেড়ে নেয়। বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। নাসিরের চিৎকারে ওই তিন যুবক পালাতে চেষ্টা করলে স্থানীয়েরা অর্জুন সাউ নামে এক জনকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণধোলাই। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে অর্জুনকে। রাতে বাকি দু’জন রাজকুমার মণ্ডল ও মহম্মদ ইবরাম ধরা পড়ে। তাদের থেকে পাঁচশো টাকা, মোবাইল ও এটিএম কার্ডটি মিলেছে।
বরাহনগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের রামকৃষ্ণ পাল বলেন, “কেউ দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।” স্থানীয় কংগ্রেস নেতা নিতাই মণ্ডল বলেন, “বরাহনগরে যে ভাবে দুষ্কর্ম বাড়ছে, তাতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে। টহলদারি বাড়ালে এমন ঘটনা কমবে বলে মনে হয়।” |