টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল এক স্কুলছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়ে মোটরবাইক আরোহী চার যুবক তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ওই ছাত্রীর চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়েরা বেরিয়ে এলে এক যুবক ধরা পড়ে তাঁদের হাতে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও, কিছুক্ষণ পরে দলবল নিয়ে তারা ফিরে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধর করে ওই যুবককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। ঘটনার পরে অবশ্য শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাত ১০টা নাগাদ বরাহনগরের নিয়োগী পাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরছিল স্থানীয় ওই স্কুলছাত্রী। অভিযোগ, চার যুবক মোটরবাইকে চেপে ওই ছাত্রীর পিছনে আসছিল। স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে পৌঁছতেই ওই মোটরবাইক আরোহীরা ওই ছাত্রীর পাশে চলে আসে। এর পরে এক যুবক ওই ছাত্রীর পিঠে হাত দেয়। তার জামা ধরে টানার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পুলিশ জেনেছে, ছাত্রীটি চিৎকার করতেই স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা বেরিয়ে আসেন। আশপাশের বাড়ির লোকেরাও বেরিয়ে পড়েন। তাঁদের দেখে মোটরবাইক আরোহীরা পালাতে গেলে সামনে থাকা একটি রিকশার সঙ্গে বাইকটির ধাক্কা লাগে। তাতে এক যুবক পড়ে যায়। তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাকি তিন জন অবশ্য মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয়।
পুলিশ জানায়, কার্তিক নামের ওই যুবককে মারধর শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর কিছুক্ষণ পরেই যে তিন যুবক মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দিয়েছিল, তারা স্থানীয় আমবাগান এলাকা থেকে আরও কয়েক জন ছেলেকে নিয়ে নিয়োগী পাড়ায় ফিরে আসে। অভিযোগ, আমবাগান এলাকার ওই সব ছেলেরা নিয়োগী পাড়ার বাসিন্দাদের মারধর করে কার্তিককে ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। এ দিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে বরাহনগর থানার পুলিশ।
এর পরে কার্তিক-সহ আরও কয়েক জন যুবক বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরে থানায় যায়। এক পুলিশ অফিসার জানান, কার্তিকরা থানায় এসে দাবি করে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরবাইক চালাতে গিয়ে ওই ছাত্রীর গায়ে ধাক্কা লেগেছিল। কিন্তু ওই ছাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাত যুবককে গ্রেফতার করেছে। যে চার জন মোটরবাইকে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিন যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধরের অভিযোগ হয়েছে। |