তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর দরকারে সব সময়ে মজুত বাহন ও সারথি।
তবু তাঁরও ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’-এর দরকার হয়।
শনিবার বেলতলার মোটর ভেহিক্যালস্ দফতরে (পিভিডি) এসে সেটাই বলে গেলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। “চিরটাকাল তো আর আমি রাজ্যপাল থাকব না। তখন গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবেই।” অতএব নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি পুননর্বীকরণ করে নতুন স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করলেন রাজ্যপাল। দেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা-কর্তা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা নারায়ণনের কথায়, “ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি পরিচয়পত্রও বটে!”
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যপালের পুরনো ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’-টি এ রাজ্যের নয়। নতুন বায়োমেট্রিক স্মার্ট কার্ডটির জন্য যাবতীয় নিয়ম মেনে দফতরের নির্দিষ্ট কক্ষে হাতের আঙুলের ছাপ দেন ও চোখের মণির ছবি তোলান নারায়ণন। |
তিনি আসবেন। তাই সকাল থেকেই সাজো-সাজো রব ছিল বেলতলায়। পিভিডি-র মূল ভবনে নতুন রঙের প্রলেপ। শনিবার ছুটির দিন। তবু সকাল দশটার মধ্যে খুলে যায় অফিস। হাজির দফতরের বেশ কয়েক জন কর্মী এবং অফিসার। আগে থেকেই প্রস্তুত পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেলতলা মোটর ভেহিক্যালস্ দফতরের ডিরেক্টর অমলেশ পাঠক। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলতলায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমেই সটান চার তলায় পিভিডি-অধিকর্তার ঘরে চলে যান রাজ্যপাল।
এর পরে স্মার্ট কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি তুলতে তাঁকে ভিআইপি গেস্ট রুমে নিয়ে যান পরিবহণ দফতরের অফিসারেরা। আধ ঘণ্টার মধ্যে সব চুকে যেতেই নতুন কার্ড হাতে গাড়িতে ওঠেন রাজ্যপাল। |