টুকরো খবর
খুনের ঘটনায় ধৃত দুই
পুরনো শত্রুদের ‘বন্ধু’ ভাবাটাই কাল হয়েছিল গণেশ সাউয়ের। শনিবার তাঁর খুনের ঘটনায় দু’জনকে পাকড়াওয়ের পরে এমনটাই দাবি পুলিশের। শুক্রবার সোনাগাছির ইমাম বক্স লেন থেকে গণেশ সাউ নামে এক যুবকের গলাকাটা দেহ মেলে। তদন্তে নামার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোনাগাছি এলাকা থেকেই রূপেশ সিংহ ও তার ভাগ্নে সুরজ সিংহ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, তারা উত্তর কলকাতার পুরনো অপরাধী।পুলিশ জানায়, উত্তর কলকাতার অপরাধ জগতের চাঁই দুখিয়ার ভাই গণেশ। তার বিরুদ্ধে খুন-সহ ১০টিরও বেশি মামলা ছিল। দুখিয়ার দলেই কাজ করত রূপেশ ও সুরজ। তদন্তকারীরা জানান, গত বছর সোনাগাছি এলাকায় রূপেশের উপরে চড়াও হয়েছিল গণেশ ও তার দলবল। সে সময়ে কোনও মতে পালিয়ে আশ্রয় নেয় মুম্বইয়ে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, কলকাতায় ফেরার পর থেকেই গণেশের উপর বদলা নেওয়ার ছক কষে রূপেশ। সেই উদ্দেশ্যেই ফের গণেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় সে। ফাঁদে পা দেয় গণেশও। এর পরেই বৃহস্পতিবার রাতে ইমাম বক্স লেনের একটি বাড়িতে গণেশকে নিয়ে আসে রূপেশ। দেদার মদ্যপানের পরে সেখানেই রূপেশ ও সুরজ চপার দিয়ে গণেশের গলা কেটে দেয়।

পুরনো খবর:
সোনা-সহ ধৃত
জুতোর ভিতরে সোনার গয়না লুকিয়ে আনতে গিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। ধৃত যুবকের নাম রিয়াজ আহমেদ (৩৪)। শুক্রবার গভীর রাতে দোহা থেকে কলকাতায় পৌঁছয় রিয়াজ। মালপত্র নিয়ে বেরোনোর সময়ে সন্দেহ হয় অফিসারদের। শুল্ক দফতরের অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়েন ওই যুবক। এই নিয়ে গত এক মাসে লুকিয়ে সোনা আনার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হল। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, রিয়াজের কাছ থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার অলঙ্কার মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ জানান, কলকাতায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। কিন্তু ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি। রিয়াজ কর্নাটকের ভাটকলের বাসিন্দা জানতে পেরে অফিসারদের সন্দেহ বাড়ে। কারণ লুকিয়ে চোরাই সোনা আনার অপরাধে এর আগেও ওই এলাকার কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। তল্লাশিতে তাঁর জুতো থেকে সোনার হার, দুল-সহ নানাবিধ অলঙ্কার মেলে।

মিছিলে হাঁটায় মার ছাত্রকে
নাগরিক সমাজের মিছিলে হাঁটায় এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল তূণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে। শনিবার স্বদেশ কোটাল নামে সি এ পাঠরত ওই ছাত্র জোড়াসাঁকো থানায় মারধরের অভিযোগ জানান। স্বদেশের জানিয়েছেন, শুক্রবার কামদুনির প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটার পরে বিকেলে একটি প্রয়োজনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগে যান। তিনি ওই বিভাগেরই প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় টিএমসিপি-র নেতা তীর্থপ্রতিম সাহা ও কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করেন। পুলিশে যাওয়ার হুমকিও দেন। শনিবার স্বদেশ দাবি করেন, “শুক্রবারের মিছিলে হাঁটার জন্যই আমাকে মারধর করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।” টিএমসিপি-র পক্ষ থেকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার পাল্টা দাবি, শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছাত্রীদের প্রতি অশালীন আচরণ করায় স্বদেশের বিরুদ্ধে তাঁরাও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অবশ্য শনিবার জানিয়েছে, টিএমসিপি কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।

ট্যাক্সিতে ছিনতাই
শহরে ফের ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ বার শাটল ট্যাক্সিতে ছিনতাইবাজদের কবলে পরলেন এক গবেষক। পুলিশ জানায়, মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা তীর্থঙ্কর ঘোষ নামে ওই গবেষক শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সামনে থেকে শিয়ালদহ যাবেন বলে একটি ট্যাক্সিতে ওঠেন। তীর্থঙ্করের অভিযোগ, ট্যাক্সিতে আরও পাঁচ জন ছিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পরে ট্যাক্সিটি শিয়ালদহের বদলে ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই পাঁচ জনে তাঁর দু’টি মোবাইল, ঘড়ি, ল্যাপটপ এবং ৬০০০ টাকা ছিনতাই করে নেয়। এর পরে তাঁকে ট্যাক্সি থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ইএসডি) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই গবেষকের বিবরণ অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের স্কেচ তৈরি হচ্ছে। অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।”

পুরনো খবর:
পুলিশকে মেরে ধৃত
গাড়িতে ঢিল ছোড়া ও পুলিশকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার, গিরিশ পার্ক থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ এলাকায় এক ব্যক্তির গাড়িতে ঢিল মারেন ধৃত ব্যক্তি। সেখানে তখন কর্তব্যরত ছিলেন জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি ওই ব্যক্তিকে ধরতে গেলে তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পুলিশের অনুমান, ধৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন।

অস্ত্র-সহ ধৃত ১
বেআইনি অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকা থেকে। ধৃত ব্যক্তির নাম রাকেশ বর্মা ওরফে কালুয়া। সে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে তিনটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, কালুয়া উত্তর প্রদেশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে কলকাতায় পাচার করত।

পুড়ে মৃত প্রৌঢ়া
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ বেহালা থানা এলাকার মজলিস আরা রোডে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বাণী চক্রবর্তী (৬৫) নামে ওই প্রৌঢ়া নিজের বাড়িতেই রান্না করছিলেন। অসাবধানতাবশত তাঁর কাপড়ে আগুন লেগে যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মিলল। শনিবার, লেক থানা এলাকা থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ঝন্টু দাস (৪৫)। কয়েক মাস ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.