|
|
|
|
সাতসকালে দু’টি দেহ উদ্ধার শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
একই সময়ে দু’টি পৃথক খুনের ঘটনার সাক্ষী হল শুক্রবার সকালের কলকাতা। একটি ঘটে বড়তলা এলাকায়, অন্যটি খিদিরপুরে। দু’টি জায়গা থেকেই এ দিন সকালে এক জন করে যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মেলে। দু’টি খুনই এ দিন ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানায়, বড়তলার ইমাম বক্স লেন থেকে গণেশ সাউ (৩৮) নামে যাঁর গলাকাটা দেহ মেলে, তিনি কাশীপুরের বাসিন্দা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ একটি বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে টহলদারি পুলিশ। পুলিশ জানায়, যুবকের গলায় গভীর ক্ষত ছাড়াও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গণেশের বিরুদ্ধে খুন-সহ ১০টিরও বেশি মামলা পুলিশের খাতায় ছিল এবং ২০০৯-এ কাশীপুর থানায় রুজু হওয়া খুনের মামলায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এই খুনের পিছনে মুকেশ নামে এক জনের কথা জেনেছে পুলিশ। গোয়োন্দাদের সন্দেহ, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন। এ দিন গণেশের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ সাউ বড়তলা থানায় মুকেশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে রাত পর্যন্ত অভিযুক্তের হদিস পায়নি পুলিশ।
এ দিনই সকাল ৮টা নাগাদ খিদিরপুর উড়ালপুলের নীচে মেলে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। তাঁর দেহে অন্তত ৩০টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, কার্ল মার্ক্স সরণির একটি দোকানের সামনে ফুটপাথে ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকারই একটি বাড়িতে ওই যুবক চুরি করতে ঢোকেন। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন লাঠি নিয়ে তাঁকে তাড়া করে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার শিকও মিলেছে। |
|
|
|
|
|