মুচিপাড়া থানার কয়েক মিটার দূরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযোগ, শনিবার রাতে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর ওই সংঘর্ষে প্রায় ৬ রাউন্ড গুলি চলে। থানার ঢিল ছোড়া দুরত্বে ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। এ দিকে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় মিছিল করেন সজল ঘোষের অনুগামীরা। মিছিলে ছিলেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অপরাজিত দাশগুপ্ত।
শনিবার রাতে মোটরবাইক চালানোকে ঘিরে মুচিপাড়া থানার সুরি লেনে তৃণমূল নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয় কিছু যুবকের। ওই যুবকেরা সজল ঘোষের হুজরিমল লেনের বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে সেই বচসা সংঘর্ষের আকার নেয়। শনিবার রাতে প্রথমে দলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর চার জনের বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সজল। অভিযুক্ত সেই গোষ্ঠীর তরফে সঞ্জু সাউ রবিবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে বলেন, সজলই তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, সঞ্জু সাউ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রের শিবিরের।
থানার অদূরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলেও কেন কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ? তদন্তকারীরা বলছেন, দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। সজল এর আগেও তাঁর উপরে আক্রমণের একাধিক অভিযোগ করেছেন। তাই তদন্ত করেই তবেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
বিরোধী গোষ্ঠী চক্রান্ত করে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নষ্ট করতে চাইছেন বলে সোমবারও অভিযোগ করেছেন সজল ঘোষ। এ দিন তিনি বলেন, “পুলিশের উপর মহলের চাপেই থানা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” তাঁর আরও অভিযোগ, অপরাধীরা থানায় এসে নতুন করে অভিযোগ জানাচ্ছে, অথচ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার না করে ছেড়ে দিচ্ছে।
সজলের অভিযোগের আঙুল দলের যাঁদের দিকে, তাদের তরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানস সরকার এ দিন বলেন, “সজল ঘোষকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।” সজলের শাস্তির দাবিতে রবিবারই এলাকায় মিছিল করেছিলেন সজলের বিরোধী গোষ্ঠী। |