সব ঠিকঠাক চললে, আর এক সপ্তাহ বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অথচ বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র মিলেই চলেছে। সোমবার সকালে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের রতনপুর পিরতলা থেকে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম জামাল শেখ। ধৃতের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে পুলিশ একটি নাইন এমএম ম্যাগাজিন ও ৯টি ওয়ানশটার উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও ২৮ রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে তার কাছ থেকে। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার জানান, ধৃতের বাড়ি পূর্বস্থলীর হামিদপুর গ্রামে। সে মূলত গাঁজা বিক্রি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
বছর দেড়েক আগে কাটোয়ার গাজিপুরে তারণ শেখ-সহ একই পরিবারের তিন জন খুন হন। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “ওই খুনের পিছনে আমানুল্লা নামে এক দুষ্কৃতীর ‘মাথা’ ছিল জানতাম। কিন্তু জামালকে জেরা করে বোঝা যাচ্ছে, ওই খুনের পিছনে সব চেয়ে বড় হাত রয়েছে জামালের।” |
রতনপুর থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানায়, খুনের পরেই হামিদপুর গ্রাম ছাড়ে জামাল। এর পরেই সে গাঁজা ব্যবসা ছেড়ে অস্ত্র ব্যবসায় হাত পাকাতে শুরু করে। তখন সে বীরভূমের নানুর থানার সূচপুর গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। মাসখানেক আগে সূচপুর থেকে পালিয়ে এসে কেতুগ্রামের কাঁচড়া গ্রামে থাকতে শুরু করে সে। তরুণ হালদার বলেন, “সোমবার সকালে কাঁচড়া গ্রাম থেকে রতনপুর পিরতলা মোড় হয়ে একটি ব্যাগ নিয়ে হাঁটছিল জামাল। সেই সময়ে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেই দেখে জামাল ছুটে পালাতে গেলে পুলিশের হাতে অস্ত্র-সহ ধরা পড়ে যায়।”
সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএম অবশ্য মনে করছে, ধৃত জামাল শেখ শাসকদলের ছত্রছায়াতেই ছিল। দলের ভাগীরথী অজয় জোনাল কমিটির ফারুক মির্জার অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আশ্রয় দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য তৃণমূলের একটা অংশ পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দিল।” যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের ব্লক সম্পাদক জাহের শেখ বলেন, “ভোটের ময়দানে সিপিএম নেই। তার পরেও গালগল্প বলে চলেছে। এ সব ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”
|