নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীর বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ ওই কলেজের সরকার মনোনীত সদস্য, আইনজীবী সদন তা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন, ওই অধ্যক্ষ ১৩ বছর ধরে বেআইনি ভাবে ভাতা নিচ্ছেন।
সদনবাবুর এই অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালন সমিতির সভাপতি সুভাষ সোম শনিবার কলেজের হিসেবরক্ষককে বলেন, অধ্যক্ষের ভাতা নেওয়া আপাতত বন্ধ রাখতে। সুভাষবাবু বলেন, “যতদূর জানি রাজ্য শিক্ষা অধিকর্তা সম্প্রতি কলেজে এসে অধ্যক্ষের কাছে ওই ভাতা নেবার ব্যাপারে ব্যাখা চেয়েছেন। আমি অধ্যক্ষকে বলেছি, উনি যতদিন নিজস্ব ব্যাখ্য না দিতে পারছেন ও সেই ব্যাখ্যায় শিক্ষা দফতর সন্তুষ্ট না হচ্ছে, ততদিন উনি যেন সমস্ত ধরনের ভাতা নেওয়া বন্ধ রাখেন।”
আইনজীবী সদন তাও বলেন, “সরাকরি নিয়ম অনুসারে কলেজ থেকে কোনও অধ্যক্ষ ভাতা পেতে পারেন না। কিন্তু বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী সান্ধ্য বিভাগ, বিবিএ, বিসিএ, কলেজে থাকা নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র ও ডক্টর ভাটিয়া কোচিং কেন্দ্র থেকে মাসিক ভাতা নেন।”
সদনবাবু আরও বলেন, “তবে অধ্যক্ষ আবেদন জানানোর পরে একমাত্র সান্ধ্য বিভাগ পরিচালনার জন্য মাসিক ২৫০০ টাকার ভাতা পরিচালন সমিতির মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু অন্য বিভাগগুলির থেকে ভাতা নেওয়া নিয়ে পরিচালন সমিতির কোনও নির্দশে নেই।” তাঁর আরও অভিযোগ, গত ১৩ বছর ধরে অধ্যক্ষ এ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাতা তুলেছেন। বিবিএ, বিসিএ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও তিনি দূর্নীতি করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
তবে অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীর জবাব, “আমি কোনও বেআইনি ভাতা নিইনি। মনে হচ্ছে কিছু অজ্ঞ লোক এ নিয়ে অভিযোগ করছেন। এটা করে ওঁরা লোক হাসাচ্ছেন!” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা অধিকর্তা লিখিত ভাবে আমার কাছে ওই ভাতা সংক্রান্ত ব্যাখ্য চাননি। পরিচালন সমিতির সভাপতি আমাকে টেলিফোনে শনিবার ভাতা নিতে বারণ করায় আমি বলেছি, লিখিতভাবে ওই নির্দেশ দিতে।”
|