ভোটের প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির না হওয়ার অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩২৮ সরকারি কর্মীকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া। তিনি বলেন, “প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে নির্বাচন পরিচালনার প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির না হওয়ায় বিভিন্ন ব্লকের ৩২৮ জন সরকারি কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের কারণ না জানালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলাশাসক জানান, জেলায় ভোটকর্মী কম। দার্জিলিং জেলার কাছে তা চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জেলার ১৭৬৯টি বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার জন্য এবছর ১০ হাজার ৬১৫ সরকারি কর্মীকে বাছাই করে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সরকারি কর্মীদের নির্বাচন পরিচালনার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এদিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার ও করণদিঘি ব্লকের বিভিন্ন বুথে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১৯৭০ জন সরকারি কর্মীকে প্রশিক্ষণে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ ও রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ডেকে পাঠায় প্রশাসন। তারমধ্যে ৩২৮ জন সরকারি কর্মী প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির হননি। কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের জেলা সম্পাদক সুযশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসন আইন মেনে ব্যবস্থা নিলে আমাদের কিছু বলার নেই।” নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিষয়ে একাধিক তথ্য ভুল প্রকাশিত হওয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জেলাশাসক বলেন, বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত নান তথ্য আপলোড করছে। কিছু ভুল হয়েছে। ত্রুটি সংশোধন করা হচ্ছে। |