চোখে জটিল রোগ হয়েছে। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। না হলে যে কোনও মুহূর্তে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরিবারের চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই। পরিস্থিতি দেখে অসহায় ছাত্রের পাশে দাঁড়াল সর্বশিক্ষা মিশন।
শেখ আনিস নামে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রের বাড়ি খড়্গপুর লোকাল থানার সাদাতপুরে। সে সাদাতপুর প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। বাবা শেখ সাজ্জাক পেশায় চালক। গাড়ি চালিয়ে সামান্য টাকাই রোজগার হয়। মা পুতুল বিবি গৃহবধূ। দুই ছেলের মধ্যে আনিসই বড়। বয়স ৮ বছর ৬ মাস। ছোট ছেলে শেখ আকাশ আড়াই বছরের। গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশিক্ষা মিশনের স্বাস্থ্য শিবিরে আনিসের চোখের রোগ ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানান, রোগটি জটিল। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। আজ, শুক্রবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে আনিসের চোখের অস্ত্রোপচার হবে। |
বৃহস্পতিবার সকালে বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মেদিনীপুরে এসেছিলেন পুতুল বিবি। দেখা করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাস। জেলাশাসক তাঁর হাতে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তুলে দেন। বলেন, “চিন্তার কিছু নেই। আমরা সকলে পাশে আছি।” মায়ের চোখে তখন জল। তা মুছে বললেন, “আপনাদের কী বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাব, বুঝতে পারছি না। আমাদের নিত্য অভাব-অনটন। আপনারা পাশে না দাঁড়ালে ছেলেটার তো কোনও রকম চিকিৎসাই করাতে পারতাম না।” ছোট্ট আনিস অবশ্য বোঝেনি কার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। শুধু বুঝতে পেরেছে, তার চোখের চিকিৎসা নিয়ে মা কথা বলেছে। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময় আনিস মাকে বলছিল, “এ বার আমার চোখটা ভাল হয়ে যাবে তো? আবার সব ভাল ভাবে দেখতে পাব তো?” ছেলের মাথায় হাত রাখেন মা। |