আংশিক সময়ের শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছেঁটে দেওয়া হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থায়ী শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও ছুটি কমিয়ে ১৮০ দিন থেকে ১৩৫ দিন করা হয়েছে। আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য মাত্র ৬ দিন সিএল বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট-এ এমনই সংশোধনী এল এ বার। এতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল’-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মঙ্গল নায়ক বলেন, “মাতৃত্বকালীন ছুটি সংবিধান স্বীকৃত। কী ভাবে সেই ছুটিও বাতিল করা হল বুঝতে পারছি না। অন্যায় সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছি।” আগের স্ট্যাটুটে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আংশিক সময়ের শিক্ষকরা ১৪ দিন ক্যাজুয়াল লিভ পেতেন। হাফ পে মেডিক্যাল লিভ ছিল। এ বার ১০টি ক্যাজুয়াল লিভ করা হয়েছে। আর আংশিক সময়ের শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে মাত্র ৭৪৮ জন পূর্ণ সময়ের শিক্ষক। আর আংশিক সময়ের শিক্ষক আছেন ৯৬০ জন। এর থেকেই বোঝা যায় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের উপর অনেকটাই ভরসা করা হয় কলেজগুলিতে। সরকারও এই শিক্ষকদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করা যাবে বলে জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও আংশিক সময়ের শিক্ষকরা কেন বৈষম্যের শিকার হলেন জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারলিপি দেয় এই শিক্ষক সংগঠন। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “ওঁদের বলেছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনায় রাজ্য সরকারকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল মানবাধিকার কমিশন। আজ কমিশনের তরফে পি পি শর্মা বলেন, “চেয়ারপার্সন আফতাব শইকিয়া এবং তরুণ ফুকন রাজ্য সরকারকে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” কমিশনের নির্দেশ, তদন্ত কমিটিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের কমিশনার, স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব এবং এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রাখতে হবে। তা ছাড়া, অবিলম্বে আক্রান্তদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে। মঙ্গলদৈ হাসপাতাল থেকে রক্ত নেওয়ার জেরে সম্প্রতি দুই মহিলা ও দুই ব্যক্তির রক্তে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আক্রান্তদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। হাসপাতালের সুপার, ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও দুই কর্মীকেও সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
|
পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল একই পরিবারের ১৫ জন। সুতাহাটার গোয়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উর্ধ্বমাল গ্রামের ঘটনা। চিকিৎসকদের অনুমান, প্রসাদে বিষক্রিয়াতেই এই ঘটনা। |