তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তে জড়িত থাকার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন তা নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবেও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতার অনুসন্ধান করার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছেন প্রদীপবাবু। ওই মন্তব্যের বিষয়ে মামলা করা যায় কিনা তা নিয়ে সিপিএম নেতৃত্বও আইনি শলা-পরামর্শ করছেন।
২৪ ঘণ্টা আগেই উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, সিপিএম-মাওবাদী ও কংগ্রেস একজোট হয়ে তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করছে। সঙ্গে রয়েছে এবিপি। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তা শুধু মিথ্যাই নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কংগ্রেসের সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত করতে কেউ সাহস পায়নি। আমরা জানতে চাই মুখ্যমন্ত্রী কোথার থেকে এই তথ্য পেলেন? আর সে জন্যই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছি।” ষড়যন্ত্রে এবিপি-কে জড়ানোরও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রদীপবাবু। তিনি জানান, কংগ্রেসের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে দলের শাখা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে প্রদীপবাবু আলোচনা করছেন। একই ভাবে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সমালোচনা করে বলেন, “দিদির যদি সাহস থাকে তাহলে ডাকুন সিবিআই।”
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে এ দিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, “নির্বাচকমণ্ডলীর সহানুভূতি আদায় করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর জীবন সংশয় সম্পর্কে সিপিএম-সহ অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে কুৎসাপূর্ণ মনগড়া অভিযোগের কথা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন।” এটা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী বলে বিমানবাবু মন্তব্য করেছেন। |