এসপিকে জরিমানার দাবি জেলা কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
নিজেদেরই তৈরি করা আইন ভাঙল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসন।
জুনের প্রথম সপ্তাহে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের সবুজ বাঁচাতে সমস্ত ধরণের যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ-প্রশাসন। সেই মত ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার চলে। যারা নিয়ম ভাঙে, তাদের ধরপাকড় থেকে আর্থিক জরিমানাও করে পুলিশ। তাদের তৈরি করা নিয়ম ভেঙে সেই পুলিশই ১৭ জুন ফুটবল ফাইনালে ব্যারাক স্কোয়ার গাড়িতে ভরিয়ে তোলে। ময়দানের ভেতরে পূর্ব দিক লাগোয়া জায়গায় গাড়ির মেলা বসে। সবগুলিই বিভিন্ন পুলিশ কর্তার। জেলা পুলিশ সুপারের গাড়িও ছিল। |
|
ময়দান ভরেছে পুলিশ কর্তাদের গাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশের এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ বহরমপুরের নাগরিক। অস্বস্তিতে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “কাজটা ঠিক হয়নি। ময়দানের ভেতরে গাড়িগুলো না ঢোকালেই ভাল হত। কিন্তু মাঠে জাতীয় দলের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ফুটবলার ছিলেন। তাঁদের গাড়ি ছাড়া মাঠে নিয়ে আসা অসম্মানের হত।” তাঁর কথায়, “ওই সন্ধ্যায় আনন্দ-আশ্রম হোমের খুদে আবাসিকদের নিয়ে এসেছিলাম। তাদের গাড়িতেই মাঠে হাজির করাতে হয়। কোনও ভাবে তারা মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলে তার দায় আমাদের উপরে এসে পড়ত। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে গাড়ি ব্যবহার হয়েছে। পরে উপলব্ধি করি মাঠে গাড়ি ঢোকানো ঠিক হয়নি।”
জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ফুটবল লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় ‘ফ্রেন্ডশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনালের আয়োজন হয় ব্যারাক স্কোয়ারে। বৃষ্টি ভেজা মাঠে গাড়ির চাকায় নষ্ট হয়েছে মাঠের চেহারা। মাঠের ঘাস গাড়ির চাকায় উঠে গিয়ে গর্ত হয়েছে।
এর আগে জেলা পুলিশ সুপার ঐতিহাসিক ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানকে ‘শহরের ফুসফুস’ বলে জানান। সেই সময়ে তিনি বলেন, “গাড়ি যাতায়াতের ফলে মাঠের সুবজ নষ্ট হচ্ছে। শহরের ঐতিহ্য নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। এ জন্য সমস্ত ধরণের গাড়ি মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।” নিয়ম ভাঙার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের জরিমানা কেন হবে না? প্রশ্ন নাগরিকদের। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছি। এসপির বিরুদ্ধে জরিমানার আবেদন জানিয়েছি।” |
|