|
|
|
|
|
বর্ষায় ভোট, প্রস্তুত হচ্ছে
প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর ও নবদ্বীপ |
|
পঞ্চায়েত নিবার্চন নিয়ে সমস্যার মেঘ কাটেনি। কিন্তু আকাশের মেঘ, নিবা:চন হোক না হোক, তাকে সামাল দেওয়া হবে কী করে? নির্বাচনের মুখে সে ব্যাপারে এ বার কিঞ্চিৎ ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে জেলা প্রশানগুলি।
প্রশাসনের মতোই রাজনৈতিক দলগুলোও বর্ষা মোকাবিলায় তাদের ভোটের প্রস্তুতি বদলে ফেলছে। প্রশাসন যখন বর্ষার কথা মাথায় রেখে গরুর গাড়ি কিংবা পেট্রোম্যাক্সের বন্দোবস্ত করছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোও রোদচশমা, হাতপাখার বদলে আশ্রয় খুঁজছে ছাতা কিংবা বর্ষাতিতে। প্রতিটি বুথ কমিটির অফিসে, দল নির্বিশেষে এখন ছাতা কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরা বর্ষায় এই গ্রামীণ ভোট-যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই নৌকা, ট্রাক্টর থেকে গরুর গাড়ি, বালির বস্তা থেকে পাম্প, পলিথিনের ব্যাগ থেকে হ্যাজাক, পেট্রোম্যাক্স যোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বর্ষার মধ্যে ভোট কেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের রাস্তা স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী না থাকলে সেই সব এলাকায় ভোটকর্মীদের পৌঁছনো কঠিন হয়ে পড়বে সে ক্ষেত্রে প্রথমে ট্রাক্টর ব্যবহার করা হবে, যদি ট্রাক্টরও না যেতে পারে তাহলে গরুর গাড়ি পাঠানো হবে। প্রয়োজনে নৌকার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’’ |
|
ভোটের প্রস্তুতি। রঘুনাথগঞ্জে অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি। |
ইতিমধ্যে জেলার বন্যাপ্রবণ এলাকার ১৩২ টি বুথকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের মধ্যে ওই এলাকাগিু্লতে বন্যা দেখা দিলে কেন্দ্রগুলি স্থানান্তর করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বন্যাপ্রবণ এলাকার ১৬ টি বুথকে ইতিমধ্যেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে এ ছাড়াও বন্যাপ্রবণ এলাকার আরও ১৩২ টি বুথকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে সেগুলিকেও বিকল্প জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’
বর্ষায় নির্বাচনী উপকরণ বন্টন ও গ্রহণ কেন্দ্রগুলিকেও (ডিসিআরসি) সুরক্ষিত রাখা জরুরি। ওই কেন্দ্রগুলিতে যদি জল জমে যায় তাহলে জমা জল বের করার জন্য থাকছে পাম্পের ব্যবস্থা। ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স ও অন্যান্য নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাতে জলে ভিজে না যায় সে জন্যও ভোটকর্মীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের জল নিরোধক দুটো করে বড় ব্যাগ। বর্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা জুন মাস থেকেই আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ বারে ভোট বর্ষাকালে হচ্ছে ধরে নিয়েই কাগজের বদলে ফ্লেক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আর রাজনৈতিক দলগুলো?
জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, ‘‘বর্ষা হোক আর যাই হোক, আমাদের লক্ষ্য ভোটারদের কাছে পৌঁছনো। সে জন্য যা করার দরকার তাই করা হবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলছেন, ‘‘বর্ষার মধ্যে ভোট হওয়ায় আমরা প্রচারের ক্ষেত্রে ধরণটা একটু বদলেছি। এ সময় দেওয়াল লেখাটা বেশ কঠিন কাজ আবার কোনমতে দেওয়াল লেখা হলেও তা টিঁকিয়ে রাখা মুশকিল সে ক্ষেত্রে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি করছি বর্ষার মধ্যে বড় জনসভা করার থেকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি বুথওয়াড়ি মিটিংগুলোতে।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ অবশ্য বলছেন, ‘‘বর্ষায় ভোট হলে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেগুলোকে যতদূর সম্ভব কাটিয়েই আমাদের প্রচার, মিছিল, মিটিং সারতে হচ্ছে।’’ |
|
|
|
|
|