ঝাড়গ্রাম শহরে মাও-পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাওবাদীদের নামাঙ্কিত দু’টি পোস্টার মেলায় বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি মোড় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে হাতে লেখা পোস্টার দু’টিতে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা এবং শহরের এক বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জেলবন্দি গৌরাঙ্গ প্রধানের নামে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে বৃ্দ্ধাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গণ আদালতে বিচার করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আর একটি পোস্টারে সিপিআই মাওবাদীদের নাম করে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘শাসক দলের দাপুটে নেতা-কর্মীরা হুঁশিয়ার, আমরা এখন ঝাড়গ্রাম শহরে’। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পোস্টারগুলি ছিঁড়ে নিয়ে যায়। |
|
সেই পোস্টার।—নিজস্ব চিত্র। |
ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের দাবি, “কৃত্রিম আতঙ্ক তৈরি করার জন্য স্থানীয় কিছু লোকজন বদমায়েশি করে ওই দু’টি পোস্টার সাঁটিয়েছিল। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের ধরা হবে।” পোস্টার দু’টি যেখানে সাঁটানো ছিল, সেখান থেকে কিছুটা দূরেই মন্ত্রীর প্রাক্তন দলীয় আপ্ত সহায়ক দশরথ হেমব্রমের বাড়ি। সুকুমারবাবুর বক্তব্য, “মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য এটা পুরোপুরি সিপিএমেরই চক্রান্ত।” সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, “মাওবাদীদের হাতে আমাদের দলের লোকজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা এসব অপকর্মে যুক্ত নই। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কারা এটা করেছে।” জেলার একমাত্র মন্ত্রী সুকুমারবাবুকে প্রয়োজনে ‘জেড ক্যাটাগরি’র নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করেছেন প্রদীপবাবু। সুকুমারবাবু এখন ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। |
|