|
|
|
|
কলেজে অনুষ্ঠান করতে টাকা ‘তুলছে’ টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ভর্তি হওয়ার সময় পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাঁচশো টাকা আলাদা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল হলদিয়া গভর্নমেন্ট কলেজের ছাত্রসংসদে থাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে। রীতিমতো রসিদ ছাপিয়ে ছাত্র সংগঠনের নামে ‘তোলা’ হচ্ছে টাকা। টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের দাবি, তিন বছরের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের জন্য তিনশো টাকা আর রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের জন্য দু’শো টাকা নেওয়া হচ্ছে। যা বাজারদরের তুলনায় এমন কিছু বেশি নয়। কলেজের ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি-র শঙ্কর দাসের যুক্তি, “কলেজ কর্তৃপক্ষ যে টাকা আমাদের কাছে দেয়, তা দিয়ে এখনকার বাজারে অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই ভাল ভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা ও দুঃস্থদের সাহায্য করতেই এই টাকা নিচ্ছি।”
কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষকান্তি ত্রিপাঠি অবশ্য বলেন, “আমরা যে সেশন ফি বাবদ টাকাটা নিই, সেটাই তো সারা বছরের অনুষ্ঠানের জন্য। এর বাইরে ছাত্র সংসদ আলাদা করে কেন টাকা নিচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
হলদিয়া গভর্নমেন্ট কলেজে ছাত্রসংসদের কাটা রসিদ। —নিজস্ব চিত্র। |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহরের রানিচকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ‘হলদিয়া গভর্নমেণ্ট কলেজ’। গত তিন বছর ধরে এই কলেজের ছাত্রসংসদ টিএমসিপি-র দখলে রয়েছে। এই বছর প্রথম বর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। পড়ুয়ারা জানতেন, ভর্তি হওয়ার জন্য ৮৫০ টাকা লাগবে। তাই হাজার খানেক টাকা এনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে আরও ৫০০ টাকা করে চেয়ে নেন কলেজের ‘দাদা’রা। তাই অনেককে আবার বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েক বলেন, “কলেজে ভর্তি ফি-র বাইরের যে টিএমসিপি টাকা নেয় তা আমরা আগেই অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমরা তো বিরোধিতা করছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে কই?” টিএমসিপি-র জেলা সম্পাদক দীপক দাস পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া সমর্থন করেন না জানিয়ে বলেন, “ওই কলেজে ঠিক কী হচ্ছে, আমাদের জানা নেই।” |
|
|
|
|
|