|
|
|
|
পিংলা |
হামলায় ধৃত ৫ জন তৃণমূলের ঘরছাড়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলায় ঘটনায় ৫ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা প্রায় দু’সপ্তাহ ঘরছাড়া ছিলেন বলে তৃণমূলের দাবি। মিছিল করে তাঁদের ফেরানোকে ঘিরেই গোলমাল পিংলার রঘুনাথচকে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালত অবশ্য ধৃত ৫ জনেরই জামিন মঞ্জুর করেছে।
পিংলার তৃণমূল নেতা গৌতম জানা বলেন, “সিপিএম মিথ্যে অভিযোগ করেছিল। তার প্রেক্ষিতে আমাদের ৫ জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।” সমস্যার সূত্রপাত সেই ৩ জুন। ওই দিন রাতে রঘুনাথচকে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের পাড়া বৈঠকের সময় সিপিএমের লোকজন হামলা চালায়। তার পর থেকেই দলের ৭ জন কর্মী ঘরছাড়া ছিলেন। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, ওই দিন হামলা করে তৃণমূলের লোকজনই। বুধবার ঘরছাড়াদের মিছিল করে ফেরাচ্ছিল তৃণমূল। সেই মিছিল থেকেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হল জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বাড়িতেও। তিনি এ বারও জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১১টি বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় বরুণ সামন্ত, গোপাল নন্দী, রবীন্দ্রনাথ দে, বুদ্ধদেব দে এবং দেবাশিস ভুঁইয়াকে। ধৃতেরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় সিপিএমের অভিযোগ, মামলাটিকে লঘু করে দেখিয়েছে। আর সভাধিপতি অন্তরাদেবীর বক্তব্য, “আমাদের দুই কর্মীকে ধরে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের ছাড়া হয়নি। অন্যায় ভাবে থানায় রাখা হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। রঘুনাথচকে পুলিশি নজরদারি চলছে। নতুন করে আর অশান্তি হয়নি। |
|
|
|
|
|