|
|
|
|
সিদ্ধান্ত নেবেন আমলারাই |
ফোনে, নেটে আড়িপাতার ব্যবস্থা ভারতে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আমেরিকায় ‘প্রিজম’, ভারতে ‘সিএমএস’। আমেরিকায় ‘প্রিজম’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্টারনেটে আড়িপাতা নিয়ে যখন সারা বিশ্ব তোলপাড়, তখন ভারতে নিঃশব্দে বিপুল নজরদারির ব্যবস্থা করে ফেলেছে কেন্দ্র। নজরদারির এই ব্যবস্থার পোশাকি নাম ‘সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম’ (সিএমএস)। এই ব্যবস্থায় আদালত বা সংসদের তদারকি ছাড়াই কোনও ব্যক্তির ই-মেল ও ফোনে আড়ি পাততে পারবেন গোয়েন্দারা।
২০১১ সালে সিএমএসের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ওই ব্যবস্থা চালু করা শুরু হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে ভারতের যে কোনও ল্যান্ডলাইন বা মোবাইলে আড়ি পাতা যাবে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কী দেখছেন বা ফেসবুক, টুইটারে কী লিখছেন, তাও জানতে পারবেন গোয়েন্দারা।
এখন কোনও ব্যক্তির ফোন ও ইন্টারনেটে কথাবার্তা ও কাজকর্মের উপরে নজরদারি চালাতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। তার পরে সংশ্লিষ্ট টেলিফোন বা ইন্টারনেট সংস্থার সাহায্য নিতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় এ সবের প্রয়োজন হবে না। এক অফিসার জানিয়েছেন, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির দফতরে সরকারি আড়িপাতার কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ওই সংস্থাকে না জানিয়েও আড়ি পাতা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারাই নির্দিষ্ট ফোন নম্বর, ই-মেল বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আড়িপাতার বিষয়টি অনুমোদন করতে পারবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই এই ধরনের নজরদারির সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিন্থিয়া ওংয়ের মতে, ভারত যদি স্বৈরতান্ত্রিক দেশ না হয় সে ক্ষেত্রে কে কী ভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে নিয়ে স্বচ্ছতা থাকা উচিত।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকারের অধ্যাপক পবন সিন্হার মতে, কোর্টের তদারকি ছাড়া নজরদারি চললে অপব্যবহারের সম্ভাবনা থাকেই। ভারতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। নতুন ব্যবস্থা ১৮৮৫ সালের ‘ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট’-র অধীনেই চলবে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি টেলিকম মন্ত্রক বা কোনও টেলিকম সংস্থা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র কে এস ধাতওয়ালিয়া জানিয়েছেন, ‘সিএমএস’ বলে কোনও ব্যবস্থার কথা তাঁর জানা নেই।
|
পুরনো খবর: আড়ি পাতায় স্বচ্ছতা আছে: বারাক ওবামা |
|
|
|
|
|