বিমানবন্দর ভাসার পরেই নালা তৈরির ব্যস্ততা দিল্লিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এ যেন চোর পালানোর পর বুদ্ধি বাড়ার দশা। গত রবিবারের প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লি বিমানবন্দর ভেসে যাওয়ার পর এখন টনক নড়েছে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি এই মাসের মধ্যে বিমানবন্দর সংলগ্ন ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে নিকাশি নালা তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। চলতি মরসুমে নির্দিষ্ট সময়ের পনেরো দিন আগেই দিল্লিতে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তাই নালা তৈরির কাজ চলেছে জোরকদমে। কিন্তু এই কাজটাই কেন বর্ষা আসার আগে শুরু হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। |
|
রবিবার এই দশাই ছিল দিল্লি বিমানবন্দরের। —ফাইল চিত্র |
আড়াই থেকে চার কোটি পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত করেন, এমন বিমানবন্দরগুলির মধ্যে এক সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেই সম্মান ধুয়ে গিয়েছে রবিবারের বৃষ্টিতে। দিল্লির শহর এলাকায় ওই এক দিনে প্রায় ৩৬.৬ মিলিমিটার ও বিমানবন্দর এলাকায় প্রায় ১১৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
এখন যুদ্ধকালীন দ্রুততায় ওই নালা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যসচিব। পূর্ত দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, শঙ্করপুর-মহীপালপুর এলাকার অতিরিক্ত জল বার করে দিতে প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা ওই নালাটি তৈরি করা হবে। আগামী দশ-বারো দিনের মধ্যে ওই নালা নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বিমানবন্দরের মান রাখতে দিন-রাত এক করে কাজ শুরু করেছেন কর্মীরা। কিন্তু তাতে কি সমস্যা মিটবে? নাকি পুরোদস্তুর বর্ষা শুরু হলে বিমানবন্দর পুরনো চেহারাতেই ফিরে যাবে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
|
পুরনো খবর: অতিবৃষ্টিতে বেহাল দিল্লি বিমানবন্দর, নাকাল যাত্রীরা |
|