বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের নয়া পরিকল্পনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাজারে সব্জি, মাছ-মাংসের মতো নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য। খুচরো বাজারের দাম ও পাইকারি বাজারের দামের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে এই পরিকল্পনার কথা ভেবেছে রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধি-বিষয়ক টাস্কফোর্স। ঠিক হয়েছে, খুচরো বিক্রির দোকানে পাইকারি বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনার রসিদ রাখার নিয়ম করা হবে। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, খুচরো বিক্রির সময়ে কোনও দোকানদার মাত্রাতিরিক্ত লাভ করছেন কি না। তবে এই পরিকল্পনাটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন বলে বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে। |
এ দিন দুপুরে সাপ্তাহিক বৈঠকে বসেন টাস্কফোর্সের সদস্যেরা। তবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মহাকরণ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে থাকতে পারেননি। তাঁর জায়গায় বৈঠকটি পরিচালনা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মনীশ গুপ্ত ও মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। পরে রাজ্যে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রতিনিধি রবীন্দ্রনাথ কোলে টাস্কফোর্সের তরফে বলেন, “রাজ্য সরকার চায় না খুচরো বাজারে কেউ ২০ শতাংশের বেশি লাভ করুন। কিন্তু খুচরো ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই দাম বাড়িয়ে পাইকারি দরের উপরে দায় চাপিয়ে থাকেন। দোকানে রসিদ রাখা থাকলে, এমনটা করা যাবে না।” তাই রসিদ রাখা বাধ্যতামূলক করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীই নেবেন বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
রাজ্যের পোলট্রি ফেডারেশনের একটি অনুরোধ নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। তাদের সহায়তায় কলকাতায় ১৬টি বাজারে ন্যায্য মূল্যে চিকেন বিক্রির দোকান গড়ে তোলা হচ্ছে। কাঁকুড়গাছি ভিআইপি মার্কেট, উল্টোডাঙা, হালতু, কলেজ স্ট্রিট, গড়িয়াহাট ও বেহালার একটি বাজারে সেই দোকান ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। ১৫০ টাকায় মুরগি কেটে ‘ড্রেস’ করে দেওয়া হচ্ছে। পোলট্রি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ, মুরগির ন্যায্য দাম নীচে বেঁধে রাখতে মুরগির খাদ্যের দাম করমুক্ত করা হোক। এ দিন টাস্কফোর্সের বৈঠকের আলোচনায় অবশ্য এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন বাজারে আদার দাম আকাশছোঁয়া। রবীন্দ্রনাথবাবুর আশ্বাস, “বাজারে শিলং আদার সরবরাহ বেড়েছে। শীঘ্রই আদার দাম ১০০ টাকা কেজি দরের নীচে নেমে আসবে।” |