দু’জন বাদে একই দিনে বাকি সমস্ত কর্মীদের ভোটের দিন বিভিন্ন বুথে যাওয়ার জন্য নির্দেশ এসেছে। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সমুদ্রগড় শাখার ১৯ জন কর্মীকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে এই নির্দেশের কথা।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দফতরে এখন মোট ২১ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা বাদে দিয়ে ২ জুলাই বিভিন্ন বুথে যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন বাকিরা। বুথে যেতে বলা হয়েছে আধিকারিক থেকে কর্মী, সকলকেই। সুশান্ত সামন্ত নামে এক কর্মী বলেন, “গত বিধানসভা ভোটের আগের দিন ঝড়ে এসটিকেকে রোডের উপরে বহু গাছ ভেঙে পড়ে। পুলিশকর্মীদের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে গাছ তুলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করে দফতরের কর্মীরা। এ বার আগের মতো পরিস্থিতি হলে কোনও বিদ্যুৎকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে না।” স্টেশন ইনচার্জ সৈকতকুমার দাস বলেন, “ভোটের সময়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে ঘটনাস্থলে যাওয়ার মতো কেউ থাকবে না। বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে মহকুমা প্রশাসন যা করার করবে।” কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “যারা মাঠেঘাটে ঘুরে বিদ্যুৎ দফতরের নানা কাজ করেন, তাঁদের চিঠি পাঠানো হলেও পরবর্তী কালে আবেদন জানালে তা বাতিল করা হবে।”
মহিলারা সাধারণত ভোটের নানা কাজের দায়িত্ব না পেলেও এ বার স্কুলের শিক্ষিকারা তালিকায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে মহকুমাশাসকের দাবি, যাদের পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে বিভিন্ন বুথে যেতে বলা হয়েছে, তাঁরা তাঁর কার্যালয়ে দেখা করলে নাম বাতিল করা হবে। ভোটের কাজে নাম বাতিল করা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা অমিতাভ দাশগুপ্তর দাবি, “পূর্বস্থলী ২ ব্লকে পাটুলির একটি স্কুলে শিক্ষকতা করি। ৩০ জুন আমার বোনের বিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের কাজে যেতে হলে গোটা পরিবার বিপাকে পড়বে। ভোটকর্মীর তালিকা থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হলেও মহকুমা প্রশাসন তাতে কান দেয়নি।” মহকুমাশাসক অবশ্য বলেন, “যাঁদের অসুবিধা রয়েছে, আবেদন জানালে তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। ওই শিক্ষকের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।” |