তৃণমূলের এক মহিলা প্রার্থীকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ওই তৃণমূল প্রার্থী তপতী দত্ত কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার সরগ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইনি গ্রামে। তিনি ওই এলাকা থেকেই প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, এক সময়ে সরগ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম-বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারত না। সিপিএম গায়ের জোরে পঞ্চায়েত দখল করত। এ বারই তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছে পঞ্চায়েতের ১১টি আসনেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তপতীদেবীকে সিপিএম নানা রকম ‘হুমকি’ দিচ্ছিল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি তপতীদেবীর অভিযোগ, “বুধবার রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম। বাড়ি লাগোয়া আমাদের মুদি দোকানে এসে কয়েক জন জিনিসপত্র কিনতে চায়। সে কারণে দোকানে যেতেই তারা আমার উপরে চড়াও হয়। টেনে বের করে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। দুষ্কৃতীরা পালায়।” সেই রাতেই তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সব্যসাচী কোনার অভিযোগ করেন, “সিপিএম সন্ত্রাস তৈরি করে গায়ের জোরে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টা করছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা দাবি, এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
এ দিনই তৃণমূলের দুই কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর গ্রামের ঘটনা। যুব তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক কোর কমিটির সদস্য তথা গ্রামবাসী সন্দীপ সিংহ জানান, সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য রবিলোচন মণ্ডলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সিপিএম সমর্থক তাঁদের দলের কর্মী বিনোদ পাল ও অচিন্ত্য গড়াইয়ের বাড়িতে বুধবার রাতে চড়াও হয়। কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা বোমাবাজি করে। বিনোদবাবু এবং অচিন্ত্যবাবুকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সন্দীপবাবু বলেন, এভাবে সিপিএম সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আক্রান্ত দুই কর্মী জামুড়িয়ার কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের লোকজনই সিপিএম কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। তাঁদের ভয়ে জামুড়িয়া ব্লকে ৬ জন সিপিএম কর্মী এলাকা ছাড়া। এখন সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে ওরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। |