ছেলের সাক্ষ্যে বাবার যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
মাকে খুনের ঘটনায় ছেলের সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল বাবার। বুধবার পুরুলিয়া আদালতের দায়রা বিচারক সুদীপ নিয়োগী এই রায় দেন। আসামির নাম বাদল শবর। বোরো থানার ধরমপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। সরকার পক্ষের আইনজীবী পঙ্কজ গোস্বামী জানান, ২০১২ সালের ১ অগস্ট খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। দাম্পত্য বচসার জেরে খেতমজুর বাদল শবর তাঁর স্ত্রী মিথিলা শবরকে (৩৫) কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনার দিনই মিথিলার দাদা ভাদু শবর বাদলের বিরুদ্ধে বোরো থানায় বোনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সে দিনই অভিযুক্ত বাদলকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় শুনানির সময় মিথিলার ১২ বছরের ছেলে শ্রাবণ তার বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। সে আদালতকে জানায়, ঘটনার সময় সে উঠোনে দাঁড়িয়েছিল। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক অভিযুক্ত বাদলকে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের সাজা দেন। সঙ্গে ১০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড হবে।
পুরনো খবর: বধূ ‘খুন’, ধৃত স্বামী
|
ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক দিনমজুরের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বিভূতিভূষণ সিং সর্দার (৪০)। হুড়া থানা এলাকার বোরিয়ারপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। এ দিন তিনি বোরিয়ারপুর গ্রামের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পলাতক। ট্রাক্টর চালাকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে কি না তা দেখার দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।
|
স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রাজীব ধীবরের বাড়ি রানিবাঁধ থানার লালমণিকোচা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোরে রাজীবের স্ত্রী মৌসুমী শ্বশুরবাড়িতে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিনই বাঁকুড়া মেডিক্যালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার মা পরি ধীবর মঙ্গলবার রানিবাঁধ থানায় তাঁর জামাই-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হয়। |