স্বস্তির বৃষ্টি! সোমবার গভীর রাত থেকে বজ্র বিদ্যুৎ সহ টানা বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকালে কিছুটা বিরতির পরে ফের দুপুর অবধি বৃষ্টি স্বস্তি আনল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির। দেড় সপ্তাহের তীব্র দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল দুই শহরের জনজীবন।
বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড়েও। সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে দার্জিলিং, কার্শিয়াঙে। হোটেলেই বন্দি থাকতে হয়েছে পর্যটকদের। তবে দুপুরের দিকে ইলশেগুঁড়ি উপভোগ করতে দার্জিলিং চৌরাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়। তবে ধসের জেরে রাস্তা বন্ধের খবর নেই। সিকিম পাহাড়েও চলছে বৃষ্টি। রাজধানী গ্যাংটক, তাদং-সহ পূর্ব, উত্তর সিকিমে ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় ছোট ধস নামলেও সিকিমের কোথাও রাস্তা বন্ধ হওয়ার খবর নেই বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন। এ দিন পূর্ব সিকিমের জেলাশাসকের দফতর থেকে, সব পথ খোলা থাকার কথা জানানো হয়েছে। |
শিলিগুড়িতে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
যদিও বৃষ্টির স্বস্তি থেকে মঙ্গলবারও বঞ্চিত দক্ষিণ দিনাজপুর। কোচবিহার-মালদা-উত্তর দিনাজপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি। দক্ষিণ দিনাজপুরে এ দিন চড়া রোদে ঘামতে হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে বিকেলের দিকে সামান্য বৃষ্টি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরে। দাবদাহ চলতে থাকায় স্কুলগুলিকে দুপুরের পরিবর্তে সকালে শুরুর নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের উপরে মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে। সেই কারণেই টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি চলবে। মালদহ এবং দিনাজপুরে এই দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হলেও টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার জেলায় মূলত টানা ভারী বৃষ্টি হবে।”
সোমবার সারা দিনই গুমোট গরম থাকলেও রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয় শিলিগুড়িতে। ঘনঘন বিদ্যুৎ ঝলকানি, ও বাজের শব্দ শোনা গিয়েছে রাতভর। সকালের দিকে খানিকটা বিরতি দিয়ে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। দেড় সপ্তাহ আগে উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও, বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ মেঘ টেনে নেওয়ায় বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। তাপমাত্রার পারদ উঠে যায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গত সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরুর পরে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করে সমতল এলাকাগুলিতে। |
জলপাইগুড়ি শহরে ছবিটি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের বৃষ্টি উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি মাথায় স্কুল অফিসে গিয়েছে দুই শহরের ছাত্র ও বাসিন্দারা। দুই শহরে কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেলেও বিকেলের দিকে জল নেমে যায়। পাহাড়ে বৃষ্টির জন্য জল বেড়েছে তিস্তা নদীতে। সমতলেও টানা বৃষ্টির কারণে করলায় জল বাড়ছে। জল বেড়েছে মহানন্দা, বালাসন নদীতেও।
|