নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লকে বাম প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে জোর মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম। মঙ্গলবার বিকালে বালুরঘাটে জেলা সিপিএম কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মানবেশ চৌধুরী পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আসনগুলিতে পুনরায় মনোনয়ন পত্র দাখিলের দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “বিডিও থেকে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুবিচার চেয়ে তাই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পুনরায় দাখিলের আর্জি জানিয়েছি।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “সিপিএমের তরফে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।” জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গঙ্গারামপুরে বাড়ি ভাঙচুর করার একটি ঘটনায় বামেদের নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা হয়। কিন্তু প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন ঘটনা নেই।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত সোমবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে গঙ্গারামপুরের দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ৫ জন, নন্দনপুরে ৪ জন, গঙ্গারামপুরে ৩ জন ও ২ নম্বর বেলবাড়ি অঞ্চলে ২ জন সিপিএম প্রার্থী এবং তপন ব্লকের আজমতপুর অঞ্চলে আরএসপির ১ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৪টি আসনে ৪ জন সিপিএমের প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। দমদমা পঞ্চায়েতে ৬টির মধ্যে ৫টি আসনে সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের ১৫ জন এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারে পিছনে তৃণমূলের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন ছিল বলে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের হুমকি ও চাপে প্রার্থীরা ভয়ে অভিযোগ করার সাহস পাননি। গঙ্গারামপুরে পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।” তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “প্রার্থীরা স্বেচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথা লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন। বামেরা ভুয়ো অভিযোগ তুলে প্রচারে নেমেছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই জোর জুলুম করার কোনও প্রয়োজনই হয় না।” |