নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
জাতীয় সড়কে ট্রাক আটকে চাল লুঠে করার অভিযোগে এক চালকলের মালিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত চালকল মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে এলাকায় পরিচিত। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ থানার বীরঘই পঞ্চায়েতের রুপাহার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতের নাম সুব্রত সরকার। স্থানীয় শাকদুয়াহাটে তাঁর চালকল রয়েছে। সুব্রতবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইটাহার ও রায়গঞ্জ থেকে ধনঞ্জয় বনিক, অচিন্ত্য সরকার, গৌর সরকার ও সুমন সাহানিকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ছোট গাড়িও উদ্ধার হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “সুব্রত সরকার দুষ্কৃতীদের থেকে ছিনতাই হওয়া চাল কিনেছিলেন। ছিনতাই কাণ্ডে সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাকি চার যুবক সরাসরি ছিনতাইয়ে যুক্ত।”
ধৃত সুব্রতবাবু যে তাঁদের দলেরই নেতা তা স্বীকার করে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “সুব্রতর নেতৃত্বে তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক সুবিধায় কংগ্রেস পুলিশকে কাজে লাগিয়ে সুব্রতবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা আইনের পথেই লড়াই করব।” অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “ছিনতাই কাণ্ডে নেতা ফেঁসে যাওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নজর ঘোরাতে অমলবাবুরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।” পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মে রাতে ইটাহার থানার নিমাইবিল এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ছোটগাড়িতে চেপে তাড়া করে বর্ধমান থেকে কালচিনিগামী একটি চালবোঝাই ট্রাক আটক করে দুষ্কৃতী দল। দুষ্কৃতীরা চালক ও খালাসিকে মারধর করে কয়েক কিমি দূরে একটি নির্জন এলাকায় ছেড়ে দেয়। দুষ্কৃতীরা চালবোঝাই ট্রাকটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে প্রায় পাঁচ টন চাল ছিনতাই করে ট্রাকটিকে কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায় ফেলে পালায়। পুলিশের দাবি, ওই দিন দুষ্কৃতীরা চাল সুব্রতবাবুর চালকলে নিয়ে গিয়েছিল। এ দিন সুব্রতবাবুর চালকল থেকে ছিনতাই হওয়া চালের সাতটি বস্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃত তৃণমূল নেতা সুব্রতবাবু বলেন, “ঘটনার সঙ্গে আমি কোনও ভাবেই জড়িত নই। আমার চালকলে ধান ভেঙে চাল তৈরি হয়। চাল কেনার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।” |