ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীদের গ্রেফতারের দাবি |
অবরোধে কংগ্রেস, যানজট শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে শহরের ব্যস্ততম রাস্তা হিল কার্ট রোড প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখল জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বেলা ১ টা থেকে জংশন স্টেশন মোড় এলাকায় অবরোধের জেরে শহরে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকেরর নেতৃত্বে ২ ঘন্টা ধরে অবরোধ চলার পর পুলিশ তা তুলে দেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও ঘন্টাখানেক সময় লাগে।
|
মঙ্গলবার হিলকার্ট রোডে কংগ্রেসের অবরোধ। |
এ দিন অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় সমস্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয় স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রীদের। প্রধাননগর এলাকার একাধিক নার্সিংহোমে রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিপাকে পড়তে হয় পরিবারের লোকদের। অ্যাম্বুল্যান্সকে ছাড় দিলেও অবরোধের মধ্যে আটকে পড়া গাড়ির ভিড়ের মধ্য থেকে বার হতে চালকদের বেগ পেতে হয়। অবরোধের তীব্র নিন্দা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস রাজ্যে এই ধরনের নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ ধরনের অবরোধ সমর্থন করি না।”
সমস্যার জন্য জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার পুলিশকেই দায়ী করছেন। তাঁর দাবি, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সিপিএম যে ভাবে রাজ্যে নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করেছিল তৃণমূল তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে দলের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত অবরোধ করেন। বাসিন্দাদের সমস্যার কথা ভেবে কিছুক্ষণ পর অবরোধ তুলে দিতে বলেছি।” |
গৌতমবাবু জানান, দু’ ঘন্টা ধরে কেন শহরের ব্যস্ততম রাস্তা আটকে রইল তা তিনি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইবেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন বলেন, “শহরের বাইরে থাকায় দেরিতে খবর পেয়েছি। এর পরেই সহকারি পুলিশ কমিশনার পিনাকী মজুমদারকে পাঠিয়েছিলাম। তারপর অবরোধ উঠে যায়।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, রবিবার রাতে প্রধাননগর এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। কার্যালয়ের শহিদবেদী ভেঙে পতাকা পুড়িয়ে দেয়। আইএনটিইউসি নিয়ন্ত্রিত শিলিগুড়ি কাঁকড়ভিটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ড্রাইভার্স অ্যান্ড ওনার্স ইউনিটের দুই জনকে মারধরও করে তারা। অথচ পুলিশ কংগ্রেসেরই দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত তৃণমূলের লোকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। বাধ্য হয়ে এ দিন তারা পথ অবরোধ করেছেন। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা মহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের লোকজন ওই ট্যাক্সি সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে তোলা তুলত। তার প্রতিবাদে সংগঠনের দুই জন বাদে বাকি সকলেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-তে যোগ দিয়েছে। সেটাই কংগ্রেস মেনে নিতে পারছে না। নিজেরাই ভাঙচুর করে, মিথ্যে অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করছে। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”
|