বাড়ি ফেরার পথে দুর্ভোগ পড়ুয়াদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শহরের ব্যস্ততম রাস্তা হিলকার্ট রোড দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ! তাতেই বাড়ি ফেরার পথে দুর্ভোগ পোহাতে হল স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রীদের। মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন মোড়ের কাছে কংগ্রেসের ওই অবরোধে অন্তত ২০টি স্কুল বাস ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আটকে পড়ে। শুরুতে অনেকে ভেবেছিলেন কিছুক্ষণ পরেই রাস্তা খুলে যাবে। কিন্তু আধ ঘণ্টা, এমনকী এক ঘণ্টা পরেও তা উঠছে না দেখে বিপাকে পড়েন তারা। অনেক বাসেই তখন আটকে কচিকাঁচারাও। দাঁড়িয়ে পড়েছে অন্য বাস, অটো-সহ সব গাড়ি। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও অবরোধ উঠছে না দেখে দীপ্তশ্রী পালিত, ঐশীর মতো ছাত্রীরা ততক্ষণে নেমে হাঁটতে শুরু করেছে।
|
বাস থেকে নেমে হেঁটেই বাড়ি ফিরছে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে খুদে পড়ুয়াদের বাস থেকে নামানো হয় সেখানে অপেক্ষা করছিলেন তাদের অভিভাবকেরা। বাস আসছে না দেখে তাঁরাও উদ্বিগ্ন হন। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। অনেকেই বাসের কন্ডাক্টরকে ফোন করেন কোনও বিপদ ঘটেছে কি না জানতে। স্কুল বাস দীর্ঘক্ষণ আটকে রয়েছে জেনে তাঁরাও চিন্তায় পড়েন। অনেকে গোলমালের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কখন অবরোধ উঠবে জানতে চান অনেকেই। বাসের কর্মীরা বলতে পারছেন না দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েন।
অবরোধে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গেই আটকে ছিল নির্মলা কনভেন্ট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দীপ্তশ্রী পালিত। দীপ্তশ্রী দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিরক্ত হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা হয়। তার বাড়ি লেকটাউনে। দীপ্তশ্রী বলে, “আগাম না জানিয়ে অবরোধ হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়। আমার মতো অনেককেই দুর্ভোগ পোহাতে হল। বাড়ি থেকে কাউকে সাহায্যের জন্যও বলতে পারছি না সঙ্গে মোবাইল না থাকায়।” বিরক্ত একই স্কুলের ঐশী মজুমদারও। ঐশীর বক্তব্য, “এভাবে রাস্তা আটকে দেওয়ার খবর পেলে স্কুলেই আসতাম না। শুধু শুধুূ বিপাকে পড়তে হল।”
নার্সারি বা কিন্ডার গার্ডেনের খুদে পড়ুয়াদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে আরও বেশি। ক্যাম্পিয়ন স্কুলের পড়ুয়াদের একটি বাসের কর্মী ফটিক চক্রবর্তী বলেন, “পড়ুয়াদের অনেকের অভিভাবকরা ফোন করছিলেন। কখন অবরোধ উঠবে বুঝতে পারছিলাম না।” পুলিশ ৩টে নাগাদ অবরোধ তুললেও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও ঘন্টাখানেক লেগে যায়। |