টুকরো খবর |
গাছে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
স্কুল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নয়াগ্রাম থানার বালিগেড়িয়া এলাকায় ঘটনা। পুলিশের অনুমান, শালখান মাণ্ডি (১৫) নামে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় বালিগেড়িয়া এসসি হাইস্কুলের ছাত্র শালখান স্কুলের হস্টেলে থাকত। পড়াশুনায় মেধাবী ছিল সে। মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন বাইরে বেরিয়ে যায় সে। বিকেলে স্কুল থেকে বেশ কিছু দূরে বালিগেড়িয়া ফরেস্ট বিট অফিসের কাছে এক জঙ্গলে শালগাছের ডালে গলায় গামছার ফাঁসে শালখানের দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। শালখানের বাড়ি নয়াগ্রামের চন্দ্ররেখা অঞ্চলের মোহনপুর গ্রামে। কী কারণে সে আত্মহত্যা করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রধান শিক্ষক প্রফুল্লকুমার সিংহ বলেন, “ও কেন এমন করল বুঝতে পারছি না। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই স্কুলের আবাসিক ছাত্র ছিল শালখান। নবম থেকে দশম শ্রেণিতে ওঠার সময় শালখান প্রথম হয়েছিল।”
|
ভর্তি নিয়ে মারামারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ছাত্র ভর্তিকে কেন্দ্র করে এসএফআই ও টিএমসিপি-র মধ্যে সংঘর্ষ বাধল মহিষাদল রাজ কলেজে। মঙ্গলবার এই মারামারিতে এসএফআইয়ের নির্বাচিত সদস্য গোবিন্দ ভৌমিক জখম হন। তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েকের অভিযোগ, “কলেজের আসল মেধা তালিকা ছিঁড়ে দিয়ে নিজেদের মতো তালিকা প্রকাশ করতে চাইছিল টিএমসিপি। আমাদের ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল। এর পরেই রামপদ জানা, শুভেন্দু মান্না ও সৌমেন পাঠক নামে আমাদের তিন ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে ওরা।” যদিও টিএমসিপি-র জেলা সম্পাদক দীপক দাসের দাবি, “মাজদিয়ার এক শহিদ ছাত্রের স্মরণে লাগানো ফ্লেক্স খুলে দিতে বলেছিল এসএফআই। তাই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।”
|
বেকসুর খালাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আরও একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন জনগণের কমিটির জেলবন্দি নেতা ছত্রধর মাহাতো। এই মামলাটি ২০০৯ সালে সিপিএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর-লুঠের। ছত্রধর-সহ মোট ৩৯ জন এতে অভিযুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেএম (জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের বিচারক সুপর্ণা রায় সকলকে বেকসুর খালাস দেন। ছত্রধর ছাড়া বাকি ৩৮ জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। এঁদের অধিকাংশ এখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী। এই নিয়ে দ্বিতীয় মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ছত্রধর। গত ২১ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতার একটি মামলায় ঝাড়গ্রাম ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন কমিটির এই নেতা। ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন ছত্রধর। মোট ৩১টি মামলার মধ্যে ৩০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে ইউএপিএ মামলায় জামিন না পাওয়ায় এই মুহূর্তে ছত্রধরের জেল থেকে বেরনোর সম্ভাবনা নেই।
পুরনো খবর: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস ছত্রধর
|
ধৃত অপহরণকারী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে চন্দ্রকোনায় চূড়ান্ত হেনস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবারই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সীতারাম ঘোষ-সহ তিন জনকে ধরেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করল চন্দ্রকোনা থানার বাঁশগেড়িয়া গ্রামের মূল অভিযুক্ত মঙ্গল দোলইকে। মঙ্গলবার তাঁকে ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়। এ দিন বিচারক মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেন এবং তাকে তার বাবা-মার কাছে ফিরে যেতে সম্মতি দেন। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়।
|
ট্রেনের ধাক্কায় আহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রেললাইন ধরে স্টেশনে আসার পথে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হলেন রবি অধিকারী নামে এক যুবক। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় পাঁশকুড়া রেলস্টেশনের কাছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও রেলপুলিশ আহত রবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই যুবকের বাড়ি পাঁশকুড়ার কনকপুর এলাকায়।
|
ছাত্রকে লাঠিপেটা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শ্রেণিকক্ষে চিৎকার-চেঁচামেচি করায় ছাত্রকে লাঠিপেটা করলেন প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া হাইস্কুলে। এ দিন হইচই থামাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দ্বাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের বছর বাইশের ছাত্র সিদ্ধার্থ খিলারকে লাঠিপেটা করেন। সিদ্ধার্থর বাঁ-হাতে আঘাত লাগে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানোর পরে সিদ্ধার্থর পরিবারের সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অবশ্য মারধর করা উচিত হয়নি বলে মেনে নিয়েছেন।
|
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার |
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তমলুক শহরের পার্বতীপুরের ঘটনা। মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোড়ই (৪৮)। তমলুক থানার নিশ্চিন্তবসান গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রিকশাচালক বাবার মৃত্যুর পরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। |
|