|
|
|
|
মিলছে না মুক্তি |
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বেকসুর খালাস ছত্রধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন জনগণের কমিটির জেলবন্দি নেতা ছত্রধর মাহাতো। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে ওই মামলাটিতে ছত্রধরকে বেকসুর খালাস দেন। তবে ইউএপিএ-সহ আরও ৩১টি মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর। ফলে এই মুহূর্তে তাঁর জেল থেকে বেরনোর সম্ভাবনা নেই।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে মামলায় ছত্রধর খালাস পেলেন সেটি লালগড় থানার পুলিশের দায়ের করা সুয়োমোটো মামলা। পুলিশের দাবি ছিল, ২০০৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে আমলিয়া গ্রামে ছত্রধরের বাড়িতে সশস্ত্র মাওবাদীরা বৈঠক করছিল। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই সকলে পালিয়ে যায়। তবে ছত্রধরের বাড়ি থেকে মাওবাদী প্রচারপত্র, পুস্তিকা, গণ মিলিশিয়া বাহিনীর সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২০১০ সালের ১৮ জুন রাষ্ট্রদ্রোহিতার এই মামলায় ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ চার্জগঠন করা হয়। ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জন সাক্ষ্য দেন। ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, “পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। সেই কারণেই সরকার পক্ষ মামলাটি উপযুক্ত ভাবে প্রমাণ করতে পারেনি।” সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।
২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লালগড় থেকে গ্রেফতার হন ছত্রধর। এখন তিনি মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটি ইউএপিএ মামলা রুজু হয়। এ ছাড়াও লালগড়, ঝাড়গ্রাম, শালবনি, গোয়ালতোড় ও বাঁকুড়ার খাতড়া থানার আরও ৩১টি মামলায় অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। এই ৩২টি মামলার মধ্যে ৩১টিতেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন ছত্রধর। শুধু ইউএপিএ মামলাটিতে জামিন মেলেনি। ইউএপিএ-সহ দু’টি মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে। ঝাড়গ্রাম জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরও তিনটি মামলার বিচার শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|