|
|
|
|
নতুন মাওবাদীর খোঁজে জঙ্গলমহলে তৎপর পুলিশ |
বরুণ দে • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলে ‘নতুন মাওবাদী’ খুঁজতে নামল পুলিশ। এলাকায় কারা নতুন করে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তা জানতে চেয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মাওবাদী অধ্যুষিত চারটি থানায়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই থানাগুলিতে পৌঁছেছে জেলার ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা।
তবে কি জেলায় ফের প্রভাব বাড়াচ্ছে বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা? এ কথা অবশ্য মানতে চাননি পুলিশ ও সিআরপি-র কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “মাওবাদীরা নতুন করে প্রভাব বাড়াচ্ছে, এমন খবর নেই। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” সিআরপি-র ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডান্ট শঙ্করলাল সেনগুপ্তেরও দাবি, “নতুন করে মাওবাদী গতিবিধির প্রমাণ নেই।”
এ দিন সৌতমবাবুর ওই নির্দেশিকা পৌঁছেছে মাওবাদী অধ্যুষিত লালগড়, শালবনি, গোয়ালতোড় ও মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার আইসিদের কাছে। দুপুরে লালগড় থানার আইসি সমীর কোপ্তি ফ্যাক্স মারফত মেদিনীপুরে তালিকা পাঠিয়েও দিয়েছেন। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সিআরপিএর তরফেই নতুন মাওবাদীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী জানতে চেয়েছে নতুন করে কাদের সঙ্গে মাওবাদীরা যোগাযোগ রাখছে, কারা লিঙ্কম্যানের কাজ করছে। থানা থেকে পাঠানো তালিকা সিআরপিকে দেওয়া হবে।
জঙ্গলমহলকে মাওবাদী শূন্য করা তাঁর সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব বলে বারবার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগে বিনপুরের সভাতেও একই দাবি করেন তিনি। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১১ সালের নভেম্বরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষেণজির। তারপর আর মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন মাওবাদী নেতা-নেত্রী আত্মসমর্পণও করেছেন। তা সত্ত্বেও জঙ্গলমহল থেকে মাওবাদী নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, এমনটা মনে করা যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গলমহলের অন্যত্রও সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বিশেষ করে যে সব যুবক-যুবতী দীর্ঘ দিন গ্রামের বাইরে রয়েছে, তাদের পরিবারের উপর নজর রাখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “এক সময় জঙ্গলমহল মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পথঘাট সবই ওদের চেনা। ফলে, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” |
|
|
|
|
|