বিএডের ভর্তি সংক্রান্ত জট এখনও কাটল না। কারণ, ফি বৃদ্ধির পাশাপাশি মানেজমেন্ট কোটার দাবিতে অনড় বেসরকারি কলেজগুলি কাউন্সেলিংয়েই যোগ দেয়নি। ১ জুলাই থেকে বিএডের শিক্ষাবর্ষ শুরু। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি বেসরকারি কলেজগুলির সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বৈঠকে কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, ম্যানেজমেন্ট কোটা দেওয়া যাবে না। এখনই ফি বৃদ্ধিও সম্ভব নয়। তবে পরে ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাবনাচিন্তা করবেন। বেসরকারি কলেজগুলি ম্যানেজমেন্ট কোটা নিয়ে কিছুটা নরম ভাব দেখালেও ফি বৃদ্ধিতে অনড় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কবে থেকে আবার কাউন্সেলিং শুরু হবে বা আদৌ শুরু করা যাবে কিনা সংশয় থেকে যাচ্ছে। সরকারি কলেজগুলির কাউন্সেলিং অবশ্য হয়ে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে বেসরকারি কলেজগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছি তাঁরা যেন কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেন। পরে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ফি সংক্রান্ত বিষয়টি তোলা হবে। সেখানে অবশ্যই বেসরকারি কলেজগুলির দাবি আন্তরিকতার সঙ্গে খতিয়ে দেখাও হবে।” সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরুণাভ মণ্ডল বলেন, “আমরা দাবি থেকে কিছুটা সরে এসে অন্তত একটি ম্যানেজমেন্ট কোটা ও ছাত্র পিছু ন্যূনতম ৫৫ হাজার টাকা দাবি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কর্তৃপক্ষে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পরেই আমরা এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ করব।”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ২৩টি বি এড কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি সরকারি ও বাকি ১৭টি বেসরকারি। গত বছর বি এড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র পিছু ৪৩ হাজার টাকা ফি ধার্য করেছিল। চলতি বছরে বেসরকারি কলেজগুলি দাবি করে, ছাত্র পিছু ন্যূনতম ৬৫ হাজার টাকা ফি ও ১০ শতাংশ ম্যানেজমেন্ট কোটা দিতে হবে। এ নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়।
যদিও উপাচার্যের বক্তব্য, “আমি আশাবাদী, বেসরকারি কলেজগুলি ছাত্র স্বার্থে কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেবেন এবং যথা সময়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করবেন। আমরা তাঁদের বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে ভাবার জন্য এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলকে জানাব।”
|