জেডিইউ-বিজেপি ভাঙনের পরে বিধানসভায় নীতীশ কাল সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে চলেছেন। কোনও অঘটন না ঘটলে কাল নীতীশের সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হবে না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে নীতীশের প্রয়োজন অতিরিক্ত চার বিধায়কের সমর্থন। ইতিমধ্যে নীতীশ যে ভাবে আশ্বাস পাচ্ছেন তাতে সমর্থন পেতে নীতীশকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কারণ ইতিমধ্যেই পাঁচ নির্দল বিধায়ক, সিপিআই এবং লোকজনশক্তি পার্টির ১ জন করে বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নীতীশ সরকারকেই সমর্থন দেবে।
এই আশ্বাসের পরে নীতীশ কিন্তু সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে যথেষ্টই নিশ্চিন্ত। পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে বিজেপি এবং আরজেডি বিধানসভায় এ বার নীতীশ বিরোধিতায় একই পঙক্তিতেই থাকবে। কংগ্রেস ইতিমধ্যে বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সিপিআই এবং লোকজনশক্তির একজন করে বিধায়ক নীতীশকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে চার নির্দল বিধায়ক প্রকাশ্যে জেডিইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখা শুরু করে দিয়েছে।
কাল বিধানসভায় নীতীশের সরকার টিকিয়ে রাখতে যে চার বিধায়কের প্রয়োজন আছে তার থেকে বেশি সমর্থন জেডিইউ-এর ঝুলিতে আসার সম্ভাবনা। রাজ্যের বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি কাল বিধানসভায় নীতীশের বিরোধিতা করবে। আজ বন্ধকে কেন্দ্র করে যে ভাবে দুই দল রাস্তায় মারামারি করেছে তাতে নীতীশের সঙ্গে বিজেপি-র দূরত্ব যে আরও বেড়েছে। সিপিআইয়ের একজন বিধায়ক কী পরিস্থিতিতে নীতীশকে সমর্থন দেবে তা নিয়ে দল ধর্মনিরপেক্ষতার যুক্তিকেই সামনে আনতে চাইছে। সিপিআই বলছে, নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নে নীতীশ কুমার যে পদক্ষেপ করেছে তাতে আমরা খুশি। বিজেপি যাতে কোনও সুবিধা না পায় তার জন্য সরকার টিকিয়ে
রাখার দায়িত্ব থেকে যায়। আমাদের ক’জন বিধায়ক আছেন, তার থেকে বড় প্রশ্ন নয়। এটা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত। সিপিআই রাজ্য সম্পাদক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিংহ বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে নীতীশের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। তাই কাল বিধানসভায় আমরা নীতীশকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এই পরিস্থিতিতে আরজেডি এবং লোকজনশক্তির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে। এত দিন এই দুই দল নীতীশ বা এনডিএ-এর বিরোধিতায় সরব ছিল। লোকজনশক্তি যদি নীতীশকে সমর্থন দেয় তাতে আরজেডি-র সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানে কোনও প্রভাব পড়বে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আরজেডি-র তরফে জানানো হয়েছে, এটা লোকজনশক্তির নিজেদের বিষয়।
|