সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করবে পুলিশ। সেই পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
সুদীপ্ত-দেবযানীর হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করা হবে কেন?
কলকাতা পুলিশ জানায়, সুদীপ্ত-দেবযানী তাঁর সংস্থায় অসংখ্য আমানতকারীর বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিনিয়োগের জন্য প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। নিয়োগপত্রে সুদীপ্ত ও দেবযানী সই করেছিলেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি। সেই সই আদৌ সুদীপ্ত ও দেবযানীর কি না, সেটাই যাচাই করে নিতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
সুদীপ্ত-দেবযানীকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁদের ২ জুলাই পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। কলকাতা পুলিশ হেস্টিংস থানার অন্য দু’টি প্রতারণার মামলায় তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে চেয়ে আবেদন জানায়। বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
|
সরকারি আইনজীবী বাসুদেব দত্ত এ দিন আদালতে আর্জি জানান, সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস সংস্থায় বিভিন্ন এজেন্ট নিয়োগ করে তাঁদের মাধ্যমে আমানতকারীদের টাকা বিনিয়োগ করাচ্ছিলেন সুদীপ্ত ও দেবযানী। পুলিশের হাতে বেশ কিছু শংসাপত্র এসেছে। তাতে ওই দু’জনের সই আছে। সুদীপ্ত ও দেবযানীর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করে শংসাপত্রের সইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার অনুমতি দিক আদালত।
সুদীপ্তের আইনজীবী সমীর দাস আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। সরকারি হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসক দিয়ে তাঁকে নিয়মিত পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করুক আদালত। বিচারক জানান, অভিযুক্তের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমাও দিয়েছে পুলিশ। দেবযানীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল প্রতারণা করেছেন বলে পুলিশ এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তাঁর মক্কেলকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
|
সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে যে-জনস্বার্থ মামলা হয়েছে, আজ, বুধবার তার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে আজকের বিচার্যের তালিকায় ওই মামলার রায়-দানের কথা প্রকাশিত হয়েছে। গত সপ্তাহে বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি শেষ হয়। সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী বাসবী রায়চৌধুরী। প্রথমে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে তার শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি পরে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি পাঠান।
|