এক সিপিএম কর্মীর বাড়ির দেওয়ালে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে লেখা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে মালদহের গাজলে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম কালিমুদ্দিন সরকার (৫৮)। দলের কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ শনিবার ১২ ঘণ্টার গাজল ব্লক বনধের ডাক দিয়েছে সিপিএম। দু দলের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাবুপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি প্রভাত ডাল-সহ ৪ জন কংগ্রেস কর্মীকে পুলিশ শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত নিবার্চনে দেওয়াল লেখা কেন্দ্র করে দু’দলের সর্ংঘষে এক জনের মৃত্যু হয়। চার জনকে ধরা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজলের বাবুপুরের সানবান্ধায় সিপিএম কর্মী যোগেশ্বর কর্মকারের বাড়ির দেওয়াল জুড়ে কংগ্রেস কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দলের প্রতীক হাতের ছবি আঁকে। সে সময় যোগেশ্বরবাবু বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। দুপুরে তিনি বাড়ি ফিরে বাড়ির প্রচার দেখে ক্ষুদ্ধ হয়ে চুন দিয়ে দেওয়ালের লেখা মুছে দেন। এরপরই দু’দলে উত্তেজনা তৈরি হয়, তার জেরেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “কংগ্রেসিরা অনুমতি না নিয়ে দলের কর্মীর বাড়ির দেওয়ালে লিখছিল। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আমাদের দলের কর্মীরা গাজল থানা থেকে ফেরার সময় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। হামলার সময়ে মাথায় রডের আঘাত পেয়ে কর্মী কালিমুদ্দিন সরকারের মৃত্যু হয়েছে। দলের আরও ৬ কর্মী জখম হন।” যদিও এলাকার কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বলেন, “অনুমতি নিয়েই কর্মীরা দেওয়াল লিখছিল। সিপিএমের কর্মীরা হামলা চালায়। গতকাল কংগ্রেসের তরফে এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমাদের দলের পক্ষ থেকে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গাজল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই রাগে এদিন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। ওদের হাতিয়ারেই জখম হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।” |