কয়েক দিনের দাবদাহের পরে, শুক্রবার দু এক পশলা বৃষ্টি। তবু স্বস্তি ফিরল না উত্তরবঙ্গে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়লেও বঙ্গোপসাগরের ওপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের টানে উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে মেঘ, জলীয় বাস্প সবই দক্ষিণবঙ্গে চলে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। সেই নিম্নচাপটি ক্রমশ সরতে থাকাতেই ফের উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিন শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের দিকে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে এ দিন দুপুরে দেড় ঘণ্টায় প্রায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এদিন দুপুরের পর থেকে ফের গরমে কাবু হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। সকালের বৃষ্টির কারণে পরিবেশ গুমোট হয়ে থাকায়, অস্বস্তি বাড়তে থাকে। সকালে বৃষ্টি না হলেও বিকেলের দিকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। |
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিম আাধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের টানে উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছিল। নিম্নচাপটি সরতে থাকাতেই ফের বৃষ্টি হতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি হলেও পরিমাণে ছিল খুবই অল্প। পুর্বাভাস অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
কয়েক দিনের দাবদাহের পরে এদিন সামান্য হলেও বৃষ্টি হওয়াতে তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। এ দিন জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল বেশি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৪ ডিগ্রি। এদিন দুপুরের বৃষ্টির পরে জলপাইগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪ ডিগ্রি কমে, ৩৩ ডিগ্রির কিছু বেশি ছিল। শিলিগুড়ি শহরের তাপমাত্রা একই ছিল। যদিও শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের অনান্য শহরে তাপমাত্রার এতটা কমে যাওয়া লক্ষ করা যায়নি বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। |