নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নান্টু পালকে ঘিরে জট অব্যাহত পুরসভায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ জুনের মধ্যে নিজের দলীয় অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নান্টু পালকে। কিন্তু এদিনও কোন রায় ঘোষণা হয় নি। আজ শনিবার ফের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে নান্টুবাবুকে। শুক্রবার রায় ঘোষণা হবে এই অপেক্ষায় ছিলেন পুর ভবনের সকলেই। কংগ্রেস কাউন্সিলর থেকে অন্যান্য দলীয় নেতৃত্বরাও যান পুরভবনে। কিন্তু ফের নান্টু পালের বক্তব্য শোনার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানোয় পিছিয়ে গেল রায়।
নান্টুবাবু কোন দলে রয়েছেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে পুরসভায়। তবে বৃহস্পতিবার নান্টু পাল নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে এসেছেন বলে দাবি করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় সে দিন এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, তিনি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছি। তৃণমূলের সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছি।” বাকি বিষয়ে তিনি এ দিন কোন মন্তব্য করতে চান নি। নান্টুবাবু বলেন, “আইন অনুযায়ী সব জানিয়ে এসেছি।” দলত্যাগ বিরোধী আইনে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত নান্টু পালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। শুনানিতে নান্টুবাবুর দলীয় অবস্থান জানার জন্য পুর আইন মেনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে তা জানানোর নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৮ সপ্তাহের মধ্যে দলীয় অবস্থান জানানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কোনও রায় ঘোষণা হয়নি। তবে শনিবার নান্টু পালের বক্তব্য শোনার পর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ওই দিনই রায় ঘোষণা করবেন বলে আশাবাদী কংগ্রেসের কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা। রায়ের ফলাফল কী হবে তার দিকে তাকিয়ে সকলেই। অন্য দিকে পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে কংগ্রেস তৃণমূল উভয় পক্ষকে দায়ী করেন দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টচার্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “পুরসভার এই অচলাবস্থার জন্য বেশি দায় তৃণমূলের। দলত্যাগ করানোর মত সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছেন তাঁরা।” তিনি আরও বলেন, “আদালতে যে মামলা গুলি চলছে সে গুলির দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন।” কাজের সংখ্যা বেঁধে দিয়ে কাউন্সিলরদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর পরিবর্তন চেয়ে সরকারের এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান। পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে ২৮ জুন আন্দোলন হবে বলে জানান তিনি। |