নিজস্ব সংবাদদাতা • বীরপাড়া |
চা বাগান অধ্যুষিত বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে পিছিয়ে পড়ল কংগ্রেস। ব্লকের ১০ পঞ্চায়েতের মধ্যে অধিকাংশ চা বলয় অধ্যুষিত এলাকায় পড়েছে মোট আসন সংখ্যা ১৩৯টি। কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পেরেছে ৩৯টি আসনে। জেলা পরিষদে ৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। বীরপাড়া-মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৮ জন প্রার্থী দিতে পেরেছে। কংগ্রেস নেতা মান্না জৈন বলেন, “চা বাগানগুলিতে আদিবাসী এবং মোর্চার সংগঠন গড়ে উঠেছে। আমাদের সংগঠনের উপর এর প্রভাব পড়ছে মারাত্মক ভাবে।”
কংগ্রেস অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে না পারায় ভোট কাটাকাটির অঙ্ক কষতে হবে না বলে আশা তৃণমূলের। কয়েক মাস আগে সদলবলে কংগ্রেসের বীরপাড়া বলয়ের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা নকুল সোনার তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন এনইউপিডব্লু নেতা মনি ডার্নাল বলেন, “৩-৪ মাস আগে এক নেতা সংগঠন ছেড়ে অন্য সংগঠনে যোগ দেন। এর পরে সংগঠন গুছিয়ে তোলা যায়নি।”
এত দিন পঞ্চায়েত ভোট হলে ওই ব্লকে সিপিএম-এর সঙ্গে আরএসপি-র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হত। পরিস্থিতি পাল্টেছে। হাতে হাত রেখে জোটের হয়ে সব কটি পঞ্চায়েত সমিটি ও জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট। কংগ্রেস-সহ বিমল গুরুঙ্গের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এক সময়কার দাপুটে নেতা পদম লামা অনুগামী নিয়ে তৃণমূল দলে যোগ দেন। ফলে, চা বাগান সহ বনবস্তি এলাকায় তৃণমূলের প্রভাব অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে দল সূত্রের দাবি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পঙ্কজ দাস বলেন, “আমাদের দল শক্তিশালী।” সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া নকুল সোনার বলেন, “আমি কংগ্রেস দল ছাড়ার পর চা বলয়ে তাদের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের সংগঠন জোরদার হয়েছে।” মোর্চার ডুয়ার্সের নেতা মধুকর থাপা জানান, তাঁরা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট গড়ে লড়বেন।” |