নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
যাতায়াতে ১০ টাকা। প্রতিবার তৃতীয় মহানন্দা সেতু দিয়ে যাতায়াতের জন্য টোল ফি দিতে হবে ৫ টাকা করে। শুক্রবার সকাল থেকে কোর্ট মোড় থেকে নৌকাঘাটের অটোর চালকদের থেকে প্রতি ‘ট্রিপে’ ৫ টাকা করে নেওয়া শুরু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন সকাল থেকে ২ টা পর্যন্ত ওই রুটে অটো চলাচল বন্ধ করে দেন চালকেরা। ফলে নাজেহাল হন যাত্রীরা। শিলিগুড়ি সিটি অটো অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, “এভাবে টাকা নেওয়া সঠিক নয়। আমরা রোড ট্যাক্স দেওয়ার পরেও কেন টোল ফি দেব।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের থেকে টোলের টাকা নেওয়া হলে আমরাও ভাড়া বাড়িয়ে দেব।” এ দিন সকালে কোর্ট মোড় নৌকাঘাট যাতায়াতকারী অটো গুলি থেকে ট্রিপ পিছু ৫ টাকা করে আদায় করা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে টোল ফি আদায়ের দায়িত্বে থাকা এলাকার লোকেরা। রসিদ কেটে দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু কোনও কিছু না জানিয়ে এভাবে টাকা আদায় করায় ক্ষোভ দেখান গাড়ি চালকেরা। |
এ বিষয়ে অটো চালক রতন কর্মকার বলেন, “গাড়ি নিয়ে গেলেই টাকা দিতে হচ্ছে। যদি দিনে ১০ বার যাতায়াত করি তবে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে।” এত টাকা ফি দিতে হলে আয় কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চালক দীপক দাস, ভরত অধিকারীরা। টাকা আদায় নিয়ে ঝামেলার কারণে কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেন রাখেন তাঁরা। হঠাৎ করে টোল ফি আদায় করায় ঘটনায় এ দিন মহকুমা শাসক ও এআরটিও-এর দ্বারস্থ হন অটো চালকেরা। কিন্তু এই বিষয়টি তাঁদের আওতাধীন নয় বলে জানিয়ে দেন মহকুমা শাসক রচনা ভগত ও এআরটিও রাজেন সুনদাস। বিষয়টি নিয়ে এদিন এসজেডিএর মুখ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এ বিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, “সিইও এর সঙ্গে দেখা করেছি, এসজেডিএ থেকে এই টোল ফি নেওয়া হচ্ছে রাস্তাঘাট মেরামতি দেখাশোনার জন্য। আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।” কিন্তু টোল ফি বাবদ কোন টাকা তাঁরা দেবে না বলে জানান নির্মলবাবু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এভাবে টাকা নিলে প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। তা আমরা কোনমতেই দেব না।” এ দিন প্রায় ৫ ঘন্টা অটো চলাচল বন্ধ থাকায় নাজেহাল হন যাত্রীরা। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বাসে উঠে পড়েন। |