|
|
|
|
আদ্রা ডিভিশনের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে বাড়ছে নিরাপত্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আদ্রা |
বিহারের জামুইয়ে মাওবাদী হামলার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলিতে আরপিএফ (রেলরক্ষী বাহিনী) জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদ্রায় রেলপুলিশ (জিআরপি), দুই রাজ্যের পুলিশ এবং আরপিএফের সঙ্গে রেলের কর্তাদের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল।
এ দিন আদ্রায় ডিআরএমের কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়। ডিআরএম জানান, বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত হলেও বিহারে ট্রেনে হামলার পরে এই বৈঠকে মাওবাদী সংক্রান্ত সমস্যা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে। ছিলেন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বোকারোর ডিএসপি (সদর), রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়, আরপিএফের আদ্রার সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার জ্যোতিকুমার সতিজা, ঝাড়খণ্ডের রেল পুলিশের আইআরপি (টাটা), রাজ্য পুলিশের বাকুঁড়া, পুরুলিয়ার গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিক এবং রেলের আধিকারিকেরা।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত এই রাজ্যের একদা মাওবাদী উপদ্রুত এলাকার পরিস্থিতির বর্তমানে উন্নতি ঘটেছে। ফলে রাতে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলিকে ফের চালানো শুরু হয়েছে। কিন্তু ছত্তীসগঢ় ও বিহারের ঘটনার পরে আদ্রা ডিভিশনের মধ্যে থাকা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে এ দিন বৈঠকে রেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে মাওবাদীরা এই রাজ্যের জঙ্গলমহলের তিন জেলায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে ‘সফ্ট টার্গেট’ হিসাবে রেলকে বাছতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দা দফতরের। তা ছাড়া সরাইকেলা-খরসঁওয়া ও বোকারো জেলার বিশাল অংশ আদ্রা ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। মাওবাদী সমস্যা সেখানেও রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ওই দুই জেলা সম্পর্কে যথেষ্ট চিন্তিত রেল কর্তৃপক্ষ। ডিআরএম বলেন, “বিহারের ঘটনার পরে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলিতে আরপিএফের সংখ্যা বাড়ানো-সহ কিছু নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।” সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার বলেন, “বিহারের ঘটনার পরেই আদ্রা ডিভিশনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একদা উপদ্রুত এলাকায় ফের মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে বলে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর ও আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে। রাতের সময় ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা ট্রেনগুলিতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ‘এসকর্ট টিমের’ দায়িত্বে এক আধিকারিককে রাখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|