|
|
|
|
জল বন্ধ রেখে অনশন শ্রমিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁওতালডিহি |
কম মজুরি-সহ নানা দাবিদাওয়াতে সাঁওতালডিহি বিদ্যুত্কেন্দ্রে জল সরবরাহ বন্ধ করে অনশনে বসেছেন পাম্প হাউসের কিছু ঠিকা শ্রমিক। বৃহস্পতিবার থেকে রায়বাধেঁর ভিরিঙ্গি গ্রামের ইনটেক পাম্পহাউসে তাঁরা অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের সমর্থনে অন্য শ্রমিকেরা টানা দু’দিন ধরে ওই পাম্পহাউস থেকে বিদ্যুত্কেন্দ্রে জল সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যুত্কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দাবি, ঝাড়খণ্ডের ভোজুডি পাম্পহাউস থেকে জল মেলায় বিদ্যুত্ উত্পাদনে সমস্যা হচ্ছে না।
ওই শ্রমিকদের অনেকেই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁদের দাবি, এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও দলের যোগ নেই। তাঁদের অভিযোগ, পাম্পহাউস তৈরি হওয়ার সময় থেকেই প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁরা এখানে কাজ করছেন। কিন্তু বর্তমানে পাম্পহাউসের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থাটি তাঁদের নিয়মিত বেতন দিচ্ছে না। শ্রমিকদের মধ্যে ধনঞ্জয় ভাণ্ডারী, রহিত ভাণ্ডারী, দিলীপ দত্তর অভিযোগ, “ঠিকাদার সংস্থাটি আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করেনি। সরকার নির্ধারিত নূনতম দৈনিক মজুরিও দেয় না। দেওয়া হয় না পে-স্লিপ, নেই চিকিত্সা সংক্রান্ত ভাতার ব্যবস্থাও।” তাঁরা এ নিয়ে আগেও আন্দোলন করেছিলেন। তাঁদের দাবি, সে বার তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে ঠিকাদার সংস্থা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করেনি। উল্টে তিন মাস ধরে মজুরিও বন্ধ রেখেছে।
এ দিকে ওই বিক্ষোভকারীদের শ্রমিক হিসাবেই মানতে চাননি ঠিকা সংস্থার কর্ণধার দীপক সরকার। তাঁর দাবি, “ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী পাম্পহাউস পরিচালনায় কাজ করবেন ২৫ জন শ্রমিক। বাকিদের প্রয়োজনভিত্তিক কাজ দেওয়া হয়। ওই দশজন শ্রমিকও প্রয়োজনভিত্তিক কাজের জন্য মনোনীত। কিন্তু তাঁরা ওই বৈঠকের পরে ফের কিছু অযৌক্তিক দাবি তুলে কাজ করেননি। তাই তাঁদের মজুরি দেওয়া যায়নি।” পুলিশ গিয়ে বোঝানোর পরেও অনশন ওঠেনি।
বিদ্যুত্কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাম্পহাউস নাগাড়ে বন্ধ রাখা হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিদ্যুত্কেন্দ্রের জিএম স্বপন মাইতি বলেন, “ওই সমস্যা মেটাতে শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসা হবে।” |
|
|
|
|
|