টুকরো খবর |
দলে ফিরলেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত অলোক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অলোক আচার্যকে দলে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
শুক্রবার জেলা নেতাদের নিয়ে কলকাতার তৃণমূল ভবনে এক বৈঠক হয়। ছিলেন মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী প্রমুখ। সেখানেই ওই নেতাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “অলোক আচার্যকে দল ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে দলের জেলা সম্পাদক করা হয়েছে।” রাজ্যে পালাবদলের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয় গড়বেতার অসীম ওঝা, নারায়ণগড়ের কৌসর আলি, ঝাড়গ্রামের গৌরাঙ্গ প্রধান এবং ডেবরার অলোক আচার্যকে। অলোকবাবু এক সময় দলের ডেবরা ব্লক সভাপতি ছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতির সঙ্গে বিরোধের জেরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। গত মার্চে ঝাড়গ্রামে এসে মুকুল রায় দলের অন্দরে জানান, অসীম-কৌসররা এখন থেকে দলের হয়ে কাজ করতে পারেন। তখন অবশ্য অলোকবাবুকে দলের হয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সম্পর্কের উন্নতি হয়। দলে ফেরার পর অলোকবাবু বলেন, “দল যা বলবে তাই করব। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে দলের কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন।”
|
জেলা পরিষদে জোরদার টক্কর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাপকাঠি যদি হয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাহলে সিপিএম-তৃণমূল জোর লড়াই হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে। আসন্ন নির্বাচনে দু’দলের প্রার্থী তালিকা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৮ জন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, ১১ জন স্নাতকোত্তর। বাম প্রার্থীদের মধ্যেও ১৮ জন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ, স্নাতকোত্তর ১১ জন। তা জেনে অনেকেই বলছেন, “ভোটের বাইরে এও এক লড়াই! ” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১ হাজার ৭৮টি আসনে কোনও প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। হাতে গোনা কিছু বাদে এর অধিকাংশই তৃণমূলের। তবে, মেধার লড়াইয়ে কিন্তু এতটা এগিয়ে নেই তৃণমূল। সেখানে তাদের টক্কর দিচ্ছে সিপিএম! ছবিটা স্পষ্ট হবে জেলা পরিষদের আসনের দিকে চোখ রাখলেই। তৃণমূল যাঁদের জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী করেছে, তাঁদের মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ এক জন করে, উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ১৮ জন, স্নাতক ২৭ জন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ১১ জন। অন্যদিকে, বামফ্রন্ট যাঁদের জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী করেছে, তাঁদের মধ্যে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ১৬ জন, উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ১৮ জন, গ্র্যাজুয়েট ১৭ জন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ১১ জন। জানা গিয়েছে, বামফ্রন্ট যাঁদের জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী করেছে, তাঁদের মধ্যে ৩১ জনের বয়সই চল্লিশের নীচে। অন্য দিকে, তৃণমূল যাঁদের জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী করেছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জনের বয়সই চল্লিশের নীচে। লড়াই এখানে এখন সত্যি সেয়ানে-সেয়ানে।
|
বিডিওকে খুনের হুমকি, নালিশ এগরায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
ব্যালট পেপার ছাপার কাজে নিজেদের সংগঠনের কর্মীদের না রাখার অভিযোগে বিডিওকে প্রাণনাশের হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের এগরা মহকুমা সভাপতির বিরুদ্ধে। গত ১১ জুন ফোনে হুমকির পর দিন ভগবানপুর ১ ব্লকের বিডিও উমাশঙ্কর দাস ওই নেতার বিরুদ্ধে থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উমাশঙ্করবাবুর অভিযোগ, অভিযোগ ফেরানোর জন্য ফোনে তাকে চাপ দেন তৃণমূলের এগরা মহকুমা সভাপতি বীরেন নায়কও। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দুই নেতা। আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভগবানপুর ১ ব্লকের ব্যালট পেপার ছাপার কাজ চলছে পটাশপুরে। ছাপাখানার কাজ দেখভালের জন্য বিডিও দশ জন করে মোট কুড়ি জনের দুটি কমিটি গড়েন। বিডিও জানান, ১১ জুন রাতে তাঁর কাছে ওই হুমকি ফোন এলে তিনি ওই নেতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে কর্মীরা এই কাজে অধিক উপযুক্ত তাঁদেরই বাছা হয়েছে। উমাশঙ্করবাবুর কথায়, “ওই নেতা আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। বিষয়টি আমি জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে জানালে তাঁদের নির্দেশেই থানার অভিযোগ দায়ের করি।” ইউনাইটেড স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের ওই নেতা হেমন্ত দাসমহাপাত্র বলেন, “কমিটিতে আমাদের সংগঠনের কাউকে রাখা হয়নি বলে বিডিওর কাছে বিষয়টি বলেছিলাম। হুমকি তো দূরের কথা, বাদনুবাদও হয়নি।” পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
|
হাতে হাত পরিবারের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটাশপুর |
একই পরিবারের তিন জন প্রার্থী হলেন পটাশপুরে। পটাশপুর ১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঞ্জবেরিয়ার বাসিন্দা মান্না পরিবারের তিন জনই এ বার কংগ্রেস প্রার্থী। তবে না মেলাতেই এমনটা হয়েছে বলে জানান কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শঙ্কর বল্লভ। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থক থাকলেও তৃণমূলের সন্ত্রাসে অনেকেই প্রার্থী হতে চাননি। তাই এমনটা হয়েছে।” কুঞ্জবেড়িয়া বুথের বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের প্রদীপ মান্না। তিনি অবশ্য তৃণমূলের দায়ের করা ‘মিথ্যে মামলা’য় ঘরছাড়া। আসনটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় ওই এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি মান্না। সেলমাবাদ বুথে প্রার্থী হয়েছেন প্রদীপবাবুর ভাই স্বপন মান্না। আর ৩৭ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে দাঁড়িয়েছেন প্রদীপবাবুর মেয়ে সোমা মান্না। বিষয়টি অবশ্য কৌতুক করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। দলের গোপালপুর অঞ্চল সভাপতি প্রভুরাম দাস বলেন, “ওদের সব ব্যাপারই ঘরে ঘরে। ঘরের প্রার্থী, ভোট পাবেন শুধু ঘরের লোকেরই।” কম যাননি প্রদীপবাবুও। তিনি পাল্টা বলেন, “এই হাতই কত ঘরের সাজানো টব থেকে ঘাসফুল ছিঁড়ে আনবে। ভোট হলে তা টের পাবেন তৃণমূলের প্রভুরা।”
|
জনপ্রিয়তার লড়াই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ক্যাটারিংয়ে জনপ্রিয়তা আছেই। এ ছাড়া তবলিয়া হিসেবেও এলাকায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। পেশায় গ্রামের একটি ক্যাটারিং সংস্থার দায়িত্ব সামলানো বছর ছত্রিশের শোভনদেব পন্ডা এ বার সুতাহাটার গোয়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনগোপালপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী। গ্রামের ক্ষুদেদের তবলাও শেখান তিনি। বাবা প্রয়াত সূর্যকুমার পন্ডা ১৯৭৭ সালে যুব কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক ছিলেন। তবে শোভনদেববাবু ভোট-যুদ্ধে এই প্রথমবার অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক তুষার মণ্ডল বলেন, “যোগ্য প্রার্থী অনেকেই ছিলেন। কিন্তু সাধারণ ঘরের ক্যাটারিংয়ের এক কর্মীর জনপ্রিয়তা আমাদের বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বি সিপিএম প্রার্থী মানিক মাইতির অবশ্য প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য।” শোভনদেববাবু বলেন, “তবলাটা ভাল লাগে সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগবে কি না জানি না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ ও জনপ্রিয়তায় উপর মানুষ ভরসা রাখবেন বলে বিশ্বাস করি।” স্থানীয় বাসিন্দা অশোক মাইতির বক্তব্য, একজন প্রবীণ প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও একজন নবীন ক্যাটারিং কর্মী দু’জনই জনপ্রিয়। তাই লড়াইটা বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে মনে হচ্ছে।
|
জঙ্গলমহলে আসবেন মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে দু’টি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে এমনই আশ্বাস দিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকটি হয় কলকাতার তৃণমূল ভবনে। তবে সভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। জেলার বিধায়ক, ব্লক সভাপতি এবং জেলা পরিষদের আসনে যাঁরা দলের প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের নিয়েই বৈঠকটি হয়। ছিলেন দুই সাংসদ মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী। আগামী ২ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যে পালাবদলের পর বেশ কয়েকবার জেলা সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই মতো বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ হয়েছে। কিছু কাজ এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুরে এসেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রতবাবু। তাঁর কাছে ঘাটালের এক নেতা আর্জি জানান, ‘ঘাটালের মানুষ দিদিকে চাইছেন। গত দু’বছরে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, খড়্গপুর মহকুমায় দিদির কর্মসূচী হয়েছে। ঘাটালে হয়নি। এ বার একটু দেখবেন।” তবে শুক্রবারের বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব আশ্বাস দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নেত্রী জেলায় যাবেন। তিনি জঙ্গলমহলে দু’টি সভা করবেন। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতির কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে এসে দু’টি সভা করবেন। প্রাথমিক ভাবে তাই-ই ঠিক হয়েছে। তবে সভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। আর কিছু দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে।”
|
আশিতে এসেও লড়াকু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পাঁচবারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য চুরাশি বছরের অতুলকৃষ্ণ জানা এবারও তৃণমূল প্রাথীর্। পটাশপুর ১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাড়ান গ্রামের বাসিন্দা খাড়ান বুথে তিনি প্রথম জিতেছিলেন ১৯৭৮ সালে। ১৯৭৮, ১৯৮৩ ও ১৯৯৩ সালে তিনি জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। ১৯৮৮ সালে দলের আপত্তিতে তিনি না দাঁড়ানোয় সেবার জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হন তাঁর ছেলে অশোক জানা। এলাকাবাসীর আবদারে ২০০৩ ও ২০০৮ সালে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়ে জয়ীও হন তিনি। অতুলবাবু বলেন, “গ্রামের সবাই আমাকে অভিভাবকের মতো মনে করে। তাই এলাকায় বিরোধী দলের সমর্থক বেশি থাকলেও তারা আমাকেই ভোট দেন।” তিনি আরও বলেন, “এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ভোটে আর দাঁড়াবো না ভেবেছিলাম। কিন্তু গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিধায়কের আবদারেই দাঁড়াতে হল।” গ্রামবাসীদের মতে, অতুলবাবু ওর ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক হলেও দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে গ্রামবাসীদের চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কোনও পারিশ্রমিকও নেন না অতুলবাবু। এছাড়াও অন্যান্য বিপদেও তিনি গ্রামবাসীদের পাশে থাকেন। তাই যতদিন তিনি বাঁচবেন, ততদিন তিনি পঞ্চায়েত সদস্য থাকবেন এমনটাই আশা গ্রামবাসীদের।
|
লক্ষ্য রজত জয়ন্তী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে। সেই থেকেই টানা জিতে আসছেন মহিষাদলের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুলিয়া গ্রামের সুকুমার ভৌমিক। সেই সময়ে প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার দাসের হাত ধরেই ভোটের রাজনীতিতে নেমেছিলেন তিনি। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতলেই পঞ্চায়েতে ‘রজতজয়ন্তী’ পার করবেন ৫৯ বছরের সুকুমারবাবু। প্রথম বারেই ভোটে জিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন। এ বারেও সেই ‘হাত’ চিহ্নে ভরসা রেখেই পঞ্চমবারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী হয়েছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ছাত্র পরিষদ করা সুকুমারবাবু কখনও দলবদল করেননি। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত নয় ওই এলাকা থেকে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতেও জিতেছেন তিনি। প্রথম দশ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করলেও শেষ দশ বছরে তৃনমূল ও সিপিএমের সঙ্গে ত্রিশঙ্কু লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, আমার কারও প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই। খেলার দুনিয়ায় যেমন জয় পরাজয় রয়েছে, নির্বাচনেও ঠিক তেমনই। তাই জার্সি বদলে খেলতে চাই না। সব দলকেই সম্মান করি তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ বারই শেষ বারের জন্য খেলব। দলের ব্লক সভাপতি মাখনচন্দ্র ঘোড়ই বলেন, “দলকে উনি যেমন ভরসা করেন, ঠিক দলও ওঁকে ভরসা করে। আমাদের আশা উনি এ বারও জিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হবেন।”
|
অপরাধের মাত্রা বাড়ছে, পথে পড়ুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
প্রতিবাদে পথে এসএফআই। —নিজস্ব চিত্র। |
অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছে, এই দাবি করে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হল এসএফআই। শুক্রবার সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি’র সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেয়। সম্প্রতি, বারাসত-নদিয়া-সহ জেলার খড়্গপুর, ঝাড়গ্রামেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসএফআইয়ের দাবি, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ফলে, দুষ্কৃৃতীরা উৎসাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ফলেই পুলিশ ধরপাকড় করছে না। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “একের পর এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটছে। পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, জঙ্গলমহল হাসছে, পাহাড় হাসছে। অন্যদিকে রাজ্য নারী নিগ্রহের ঘটনায় শীর্ষস্থান দখল করছে।” অপরাধমূলক কাজকর্ম এড়াতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোও দাবি জানানো হয়। |
বৃষ্টিতে ক্ষতি বাদাম চাষে, সমস্যায় চাষিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে নষ্ট হল এগরা মহকুমার চারটি ব্লকের বাদাম চাষ। এগরা মহকুমা সহ কৃষি আধিকারিক (প্রশাসন) কল্লোল কুমার পাল জানান, বুধবার থেকে শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে মোট দুশো মিলিমিটার। এগরা মহকুমার পটাশপুর ও এগরার মোট চারটি ব্লকে বাদাম চাষ হয়েছিল পনেরো হাজার হেক্টর জমিতে। দিন কুড়ি আগেও টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফসল বাঁচাতে তড়িঘড়ি কিছু ফসল তুলেও ফেলা হয়। এগরার দুটি ব্লকে আশি শতাংশ ফসল তোলা হলেও পটাশপুরে তোলা হয়েছিল মাত্র চল্লিশ শতাংশ। সেই হিসেবে পটাশপুর ২ ব্লকের বারোশো হেক্টর ও এগরার চারশো হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির দরুণ মাঠ জলে ডুবে থাকায় বাদাম অঙ্কুরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পচেও যাচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
|
দুর্ঘটনায় মৃত প্রৌঢ় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম বলরাম জানা(৫৪)। বাড়ি দাসপুরের বড় শিমুলিয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বলরামবাবু পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন ঘাটাল -পাঁশকুড়া সড়কের উপর বেলতলা -ঘাটালগামী একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক। |
|