|
|
|
|
জামুইয়ের জের |
বাড়তি সতর্কতা জঙ্গলমহলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিহারের জামুইয়ে ট্রেনে মাওবাদী হামলার জেরে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন ‘কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স’-এর স্পেশাল আইজি অনিল কুমার। এ দিন জিতুশোলে কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্সের বৈঠকে জঙ্গলমহলে তল্লাশি -অভিযান ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। কিষেণজির মৃত্যুর পর যেভাবে মাওবাদীরা ছত্তীসগঢ়, বিহার ও ওড়িশায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। কয়েকদিন আগে বিনপুরে মাওবাদী হুমকি -পোস্টার পড়লে পুলিশ দ্রুত তা খুলে দেয়। লাল কালি দিয়ে ইংরেজিতে হাতে লেখা মাওবাদী -নামাঙ্কিত ওই সব পোস্টারে হুমকি দিয়ে বলা হয়, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের যে সব প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের পরিণাম সিপিএমের চেয়েও ভয়াবহ হবে। গোয়েন্দারাও খবর পাচ্ছেন, জঙ্গলমহলেও মাওবাদীরা গত এক বছরে ভাল সংগঠন তৈরি করেছে। ভোটের সময় মাওবাদীরা গোলমাল পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মোবাইল ফোন ট্যাপ করে মাওবাদী ও তাদের সমর্থকদের ব্যাপারে খোঁজখবর পেতে পুলিশ মেদিনীপুরে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের(এসওজি)একটি বিশেষ সেল খোলে। কিন্তু মাওবাদীরা এখন আর মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় মাওবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পুলিশের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তৃণমূলের নেতা -বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে মাওবাদীরা ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বেলপাহাড়ির গ্রামগুলিতে প্রচার চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান জোরদার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ -পূর্ব রেলের খড়্গপুর -টাটানগর শাখার সর্ডিহা, বাঁশতলা, গিধনির মতো স্টেশনগুলির লাগোয়া এলাকায় রেল লাইনে একাধিক বার নাশকতা চালিয়েছে মাওবাদীরা। বছর তিনেক আগে বাঁশতলার ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস আটক করেছিল মাওবাদীরা। জঙ্গলমহলের স্টেশন গুলিতে রেলপুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেনের চালকের কামরায় ও গার্ডের কারমায় সশস্ত্র রক্ষী দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|