দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
বেহাল স্ট্যান্ড
আশ্বাসই সার
তুন বাস রুটের উদ্বোধনে এসে বাসস্ট্যান্ডটির উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরে চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডটির কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
যাত্রীরা আগের মতোই খোলা আকাশের নীচে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। বাসছাউনি বহু দিন ধরে ফুটপাথবাসীদের দখলে চলে গিয়েছে। সেখানেই চলছে রান্নাবান্না, খাওয়াদাওয়া, রাত্রিবাস। ১৪ নম্বর বাসটি বন্ধ হয়ে গেলেও, এখনও এই বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩এ/১ রুটের বাস চলে। বাসটি এখান থেকে কাঁকুড়গাছি পর্যন্ত যায়। বেহালা থেকে শহরের উত্তর-পূর্বে যেতে অনেকেই এই বাসটির উপরে ভরসা করে থাকেন।
ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে ঠাকুরপুকুরের দিকে যেতে বাঁ দিকে পড়বে এই ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড। স্ট্যান্ডের বাঁ দিকের স্থানীয় রিকশাচালকেরা তাঁদের রিকশা রাখার জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন। তার সামনে অধিকাংশ দিনই ফল, ডাব নিয়ে ব্যবসায়ীরা বসে পড়েন। পিছনের দিকে এক কোণে স্ট্যান্ডের অফিস। সেটি খুঁজে পাওয়াই দায়। এই ঘরের পাশে একটি হোটেল চলে। এটিও স্ট্যান্ডের জায়গা দখল করে তৈরি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এলাকার মানুষ জানান, স্ট্যান্ডটি বহু পুরনো। আগে এই স্ট্যান্ড থেকে প্রতি দিন ১৪ নম্বর রুটের পাশাপাশি ৩এ রুটের বাস ছাড়ত। এখন দু’টি রুটই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবু ৩এ/১ বাসের জন্য প্রতি দিন বহু মানুষ অপেক্ষা করেন। শিল্পমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রীর উদ্যোগে নতুন করে তিনটি রুটে ভূতল পরিবহণ নিগমের বাসও চালু হয়েছে। ফলে নিত্যযাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীদের সুবিধার জন্য কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডল বলেন, “মন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমি কিছু বলতে পারব না।” পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাসস্ট্যান্ডটির উন্নয়নের জন্য সিএসটিসি ইতিমধ্যেই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু করেছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য যা যা দরকার, সবেরই ব্যবস্থা হবে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাসস্ট্যান্ডটির উন্নয়নের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে। এখন টেন্ডারের কাজ চলছে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.