ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বরাবরই আর পাঁচটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো। সব ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নামতে হয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু মিডিয়া ও ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ম্যাচ নিয়ে এত হইচই করে যে, আমরাও একে আহামরি ভাবতে শুরু করি। সব মিলিয়েই ভারত-পাক ম্যাচ এক অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। একেবারে ‘স্পেশ্যাল’।
|
দলের জন্য ভাল কিছু করতে পারাটা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই গর্বের বিষয়। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সেই ম্যাচে আমরা প্রথমে ব্যাট করে বেশি রান (২২৭) তুলতে না পারলেও জানতাম, এই রান নিয়েও লড়াই সম্ভব। আমি নিজেও সে দিন আত্মবিশ্বাসে ফুটছিলাম। একটাই কথা বারবার মনে হচ্ছিল, আমাকে পারতেই হবে। সঠিক লেংথে বল করাটাই সে দিন ছিল আমার প্রধান কাজ। সেটা পেরেছিলামও। সেই ম্যাচটার পরিবেশ ছিল রক্তে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার মতো। গ্যালারিতে উপছে পড়া মানুষ। এর চেয়ে বেশি আর কী আশা করা যায়? ইংল্যান্ডে উপমহাদেশীয় মানুষের অভাব নেই। ভারত-পাক ম্যাচ হলে তো তাদের ঢল নামে। সে দিন ভারতীয় সমর্থকদের উল্লাস দেখে কখনও মনে হয়নি, দেশের বাইরে আছি।
|
এজবাস্টনেও শনিবার একই ছবি দেখা যাবে বলে আমার বিশ্বাস। একই রকম পরিবেশ থাকবে। এগুলোই তো রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ভারতের দল যথেষ্ট ব্যালান্সড। উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মা উইকেটের বাউন্স দারুণ ভাবে কাজে লাগাচ্ছে। ভুবনেশ্বর কুমার দু’দিকেই সুইং করাচ্ছে। আগের বোলারদের চেয়ে এখনকার এই বোলারদের বলের গতি অনেক বেশি। আর পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ ভারতীয় ব্যাটিংকে কাত করতে পারবে কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বল মুভ করলে পাক ব্যাটসম্যানরা বেশ অসুবিধায় পড়ে যায়। মিসবা অবশ্য ব্যতিক্রম। এ দিক থেকে ভারত এই ম্যাচে এগিয়ে। |